জামালপুরে মৎস্য শিল্পে গ্রামীণ নারীরা কর্মমুখী

গ্রামীন অর্থনীতি ও গ্রামীন নারীদের আত্ম কর্মসংস্থান করার লক্ষ্যে সরকার একের পর এক প্রকল্প হাতে নিয়ে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে মৎস্য চাষের মাধ্যমে গ্রামীণ নারীদের আত্ম কর্মসংস্থান করা। জেলার ৭টি উপজেলায় এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হওয়ায় অধিকাংশ গ্রামীণ নারীরা স্বচ্ছলতা ফিরে পেয়েছে। ফলে গ্রামীন অর্থণীতিতে চাঙ্গাভাব ফিরে এসেছে।

জানা যায়, জামালপুর সদর উপজেলা কৃষি সমৃদ্ধ এলাকা হলেও মৎস্য চাষের ব্যাপক খ্যাতি রয়েছে। এ উপজেলার গোপালপুর, ঘোড়াধাপ, ও রানাগাছা এলাকার বেশ কয়েকজন নারী বাড়ীর আঙ্গিনায় আধুনিক ট্যাংক পদ্ধতীতে বিভিন্ন জাতের মাছ চাষ করেছে। সরেজমিনে এ এলাকা গুলো ঘুরে কথা হয় বেশ কয়েকজন নারীর সাথে এর মধ্যে পদ্ধতীতে মাছ চাষে গ্রামীণ নারীরা এগিয়ে আসেনি।

আমরাই মৎস্য বিভাগের সহায়তায় শুরু করেছি। ট্যাংক পদ্ধতীতে মাছ চাষ করে প্রতি মাসে আয় হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা। তারা আরো বলেন, আমাদের দেখাদেখি অনেকেই মাছ চাষে এগিয়ে আসছে। ফলে অনেক পরিবার স্বছল ভাবে দিনাতিপাত করছে।

মৎস্য বিভাগের এ প্রকল্প মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ, ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ বকশীগঞ্জ ও সরিষাবাড়ী উপজেলা ছড়িয়ে পড়েছে। প্রায় সর্বত্রই গ্রামীণ নারীরা ট্যাংক পদ্ধতিতে মাছ চাষে এগিয়ে আসছে। সরেজমিনে মেষ্টা, ভাটারা পাররামপুর সহ ১০ থেকে ১৫টি ট্যাংক বানিয়ে মাছ চাষ করছে। কথা হয় মেষ্টা গ্রামের সালমা বেগম (৩০) এর সাথে তিনি এ প্রতিবেদক কে বলেন, এইচ.এস.সি পাশ করার পর বিএ ভর্তি হয়ে কিছু একটা করার ইচ্ছা জাগে।

টিভির পর্দায় দেখতে পেলাম ট্যাংক পদ্ধতীতে মাছ চাষ। মৎস্য বিভাগের সার্বিক সহযোগিতা নিয়ে ছোট পরিসরে শুরু করি ট্যাংক বানিয়ে মাছ চাষ। প্রথমবার তেলাপিয়া জাতের মাছ চাষ করে লাভ হয় প্রতি মাসে খরচ বাদে লাভ হয় ১০ হাজার টাকা। এখন তার খামারে ২০ থেকে ২৫ টি ট্যাংক রয়েছে যাতে মাছ চাষ করে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে। সালমা বেগম একজন সফল নারী উদ্যোক্ত।