‘জামায়াতের সঙ্গ ছাড়তে’ ড. কামালের কাছে আবেদন
বাংলাদেশের জাতীয় রাজনীতিতে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গ ত্যাগ করার সুনির্দিষ্ট ঘোষণার দেওয়ার জন্য ড. কামাল হোসেনের প্রতি আবেদন জানিয়েছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত তরুণ প্রজন্ম।
রোববার বিকেলে চারটায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অস্থায়ী কার্যালয় পুরানা পল্টনের জামান টাওয়ারে গিয়ে ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক কামাল হোসেনের কাছে স্মারকলিপির মাধ্যমে এ আবেদন জানায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত তরুণ প্রজন্ম।
স্মারকলিপিতে তিনটি আবেদনে তিনটি বিষয় উল্লেখ করা হয়—জামায়াতের সঙ্গ ত্যাগের সুনির্দিষ্ট ঘোষণা দিতে হবে, জামায়াতের পৃষ্ঠপোষকতাকারীদের সঙ্গ ত্যাগ করতে হবে এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতকারীদের সঙ্গ ত্যাগ করতে হবে।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধিদলের সমন্বয়ক মাজহারুল কবির শয়ন বলেন, আজকে তাঁরা প্রায় ১৫০ জন তরুণ স্মারকলিপি দেওয়ার জন্য কামাল হোসেনের কাছে যান। বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাঁদের সঙ্গে রয়েছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নৃবিজ্ঞানে এমফিল করছেন মাজহারুল কবির। তিনি বলেন, ‘প্রতিনিধিদলের হয়ে আমি কামাল হোসেনের হাতেই স্মারকলিপি দিয়েছি। তাঁকে বলেছি, ঐক্যফ্রন্টে যাঁরা মুক্তিযোদ্ধা আছেন তাঁরা এবং জামায়াত একসঙ্গে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করছে। এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত বেদনাদায়ক। তিনি আমাদের বিষয়টি নিয়ে তাঁদের মিটিংয়ে আলোচনা করবেন বলে জানিয়েছেন।’ ঐক্যফ্রন্টের আরেক নেতা আ স ম আবদুর রবের সঙ্গে এই প্রতিনিধিদলটির কথা হয় বলে জানান মাজহারুল। তিনি বলেন, তাঁদের নৈতিক জায়গা থেকে তাঁরা এ আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি আশা করেন, কামাল হোসেন এ বিষয়টি নিয়ে ভাববেন।
নির্বাচনী জোট গঠন করার এত দিন পরে স্মারকলিপি দেওয়া প্রসঙ্গে মাজহারুল বলেন, ‘এ বিষয় নিয়ে প্রথম থেকেই সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে কথা বলেছে। সংগঠিত হয়ে কামাল হোসেন পর্যন্ত যেতে আমাদের সময় লেগেছে।’
স্মারকলিপিতে বলা হয়, কামাল হোসেনসহ কয়েকজন জাতীয় নেতা যাঁদেরকে তরুণ প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারক ও বাহক মনে করে, তাঁরা মিলে ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট’ জোটের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। কামাল হোসেনকে সংবিধান প্রণেতা উল্লেখ করে বলা হয়, ‘আপনি বর্তমানে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনের নামে প্রকারান্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী জামায়াতের সঙ্গে রাজনৈতিক জোট গঠন করেছেন, যা আপনার প্রণীত সংবিধানের চার মুলনীতির মধ্যে বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও ধর্মনিরপেক্ষতার সঙ্গে সরাসরি সাংঘর্ষিক।’
মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের ব্যক্তি হিসেবে কামাল হোসেনকে জামায়াতের সঙ্গ ছেড়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করার আবেদন জানায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত তরুণ প্রজন্ম।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন