জিয়া বহুদলীয় গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠাতা, এটিই তথ্যভিত্তিক সত্য : সিইসি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদা বলেছেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠাকারী, এটিই তথ্যভিত্তিক সত্য।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে সিইসি এ মন্তব্য করেন।

সুশীল সমাজ, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, রাজনৈতিক দল, পর্যবেক্ষক সংস্থা, নারী নেত্রীসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন অংশের সঙ্গে চলমান তিন মাসের সংলাপ শেষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

কেএম নুরুল হুদা বলেন, চলমান সংলাপের মাধ্যমে রাজনৈতিক ও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন অংশের মধ্যে আস্থার পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।

বিএনপির সঙ্গে সংলাপকালে দলটির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা বলে অভিহিত করেছিলেন সিইসি।

বৃহস্পতিবারের সংবাদ সম্মেলনে সিইসির ওই মন্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানই বহুদলীয় গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠাকারী। এটিই তথ্যভিত্তিক সত্য।

এর ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, ৭৫-৭৭ সাল পর্যন্ত দেশে গণতন্ত্র ছিল না। পরবর্তী সময়ে জিয়াউর রহমান দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করে নির্বাচন আয়োজনসহ গণতন্ত্রের পথ সুগম করেন।

সংবাদ সম্মেলনে সেনা মোতায়েনের বিষয়ে সিইসি বলেন, মাঠের চাহিদা ও অন্যান্য পারিপার্শ্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে সেনা মোতায়েন করা হতে পারে। আর এই বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের হাতেই থাকবে।

নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে এ সময় নির্বাচনী কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কোনো ক্রিমিনাল অফেন্সের (অপরাধকর্ম) অভিযোগ এলে প্রমাণ সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান সিইসি।

আগারগাঁও নির্বাচন কমিশন ভবনে বেলা ১১টায় অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলনে চার নির্বাচন কমিশনার, ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিবসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

একাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আইন সংস্কার, সীমানা পুনর্নির্ধারণসহ ঘোষিত রোডম্যাপ নিয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে সংলাপ করে।

গত ৩১ জুলাই নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনার মধ্য দিয়ে সংলাপ শুরু করে ইসি। ১৬ ও ১৭ আগস্ট গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।

এর পর ২৪ আগস্ট থেকে নিবন্ধিত ৪০টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ শুরু করে নির্বাচন কমিশন, যা শেষ হয় গত বৃহস্পতিবার।

২২ অক্টোবর পর্যবেক্ষক সংস্থার প্রধান ও ২৩ অক্টোবর নারী নেত্রীর সঙ্গে মতবিনিময় করেছে ইসি। সংলাপে উঠে আসা বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানানোর জন্যই আজকের সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়।