জেএসসি-এসএসসিতে থাকলে এইচএসসিতেও জিপিএ-৫
জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের এইচএসসি পরীক্ষায়ও জিপিএ-৫ দেয়া হবে। তবে এ দুটির একটিতে খারাপ হলেও তা যোগ করে তার অর্ধেক দেয়ার চিন্তাভাবনা রয়েছে। ডিসেম্বরে ফলাফল প্রকাশ করা হবে বলে বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ড থেকে জানা গেছে।
জানা গেছে, করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে এবারের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার ওপর মূল্যায়ন করে এইচএসসির ফলাফল প্রকাশ করা হবে।
বুধবার সাংবাদিকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী এমন ঘোষণা দিয়েছেন। পরীক্ষার্থীদের কোন পদ্ধতিতে গড় নম্বর দেয়া হবে সেটি নির্ণয় করতে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করা হবে। তাদের সুপারিশের ভিত্তিতে পরীক্ষা ছাড়া ফলাফল প্রকাশ করা হবে।
একাধিক শিক্ষা বোর্ড থেকে জানা গেছে, পরীক্ষার্থীদের জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর যোগ করে তার অর্ধেক নম্বর এইচএসসিতে দেয়া হতে পারে। এ দুটি পরীক্ষার মধ্যে কারও একটি স্তরের মোট নম্বর কম হলেও তাদের ক্ষেত্রেও একই পদ্ধতি অনুসরণ করা হতে পারে। তবে যাদের জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ রয়েছে তাদের এইচএসসিতেও জিপিএ-৫ দেয়া হবে।
অন্যদিকে যারা এক অথবা দুই বিষয়ে ফেল করে পুনরায় পরীক্ষা দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তাদের অটোপাস দেয়া হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আন্তঃশিক্ষা সমন্বয়ক বোর্ডের সভাপতি অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক বুধবার বলেন, যে সকল শিক্ষার্থীর জেএসসি ও এসএসসিতে জিপিএ-৫ থাকবে এইচএসসিতেও তাদের জিপিএ-৫ দেয়া হতে পারে। এক ও দুই বিষয়ে ফেল করে পুনরায় নিবন্ধন করা শিক্ষার্থীদের সেসব বিষয়ে পাস করিয়ে মোট জিপিএ দিয়ে ফলাফল প্রকাশ করা হবে।
তিনি বলেন, নিচের স্তরের উভয় পরীক্ষায় কম জিপিএ নম্বর অর্জনকারী শিক্ষার্থীরা এইচএসসি পরীক্ষায় ভালো করবে সেই সম্ভাবনা অনেক থাকে। এ কারণে তাদের পাস করিয়ে দেয়া হলেও জিপিএ নম্বর কম থাকবে। তবে সকল সিদ্ধান্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের টেকনিক্যাল কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে চূড়ান্ত করা হবে।
এদিকে দুপুরে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, এইচএসসি-সমমান পরীক্ষা সরাসরি নেয়া না হলেও কী পদ্ধতিতে গ্রেড নির্ধারণ করা হবে সেটি নির্ধারণ ও পরামর্শের জন্য সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, শিক্ষা বোর্ড ও বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করা হবে। তাদের আগামী নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে প্রতিবেদন দিতে বলা হবে। তার ভিত্তিতে ডিসেম্বরে এইচএসসি-সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হবে।
তিনি বলেন, ফল প্রকাশের পর দেশ-বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে শিক্ষার্থীদের কোনো সমস্যায় পড়তে হবে না। তবে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কী পদ্ধতিতে ভর্তি করা হবে সেই বিষয়েও টেকনিক্যাল কমিটির কাছে পরামর্শ নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
এবার এইচএসসি-সমমান পরীক্ষায় ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ৬৮৯ জন পরীক্ষার্থীর অংশগ্রহণের কথা ছিল। তাদের মধ্যে নিয়মিত ১০ লাখ ৭৯ হাজার ১৮১ জন এবং অনিয়মিত দুই লাখ ৬৬ হাজার ২০৮ জন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন