টেইলারিং শিল্পে আত্মনির্ভরশীল জামালপুরের গ্রামীন যুব মহিলারা

সরকারের গ্রামীন অর্থনৈতিক উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রামীন যুব মহিলাদের আত্ম কর্মসংস্থান ও ক্ষমতায়নের জন্য একের পর এক প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। টেইলারিং শিল্প ছিলো এ প্রকল্পের আওতাভুক্ত।

জামালপুর জেলার ৭টি উপজেলায় অসংখ্য যুব মহিলা যুব উন্নয়ন ও বিভিন্ন এনজিও থেকে টেইলারিং শিল্পের উপর প্রশিক্ষন নিয়ে নিজেদের কে আত্ম নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। সরকারের এই প্রকল্পের মাধ্যমে যুব মহিলারা আত্ম নির্ভরশীল হয়ে স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে এনেছে। ফলে গ্রামীন অর্থনীতিতে চাঙ্গা ভাব ফিরে এসেছে।

জানা যায়, জামালপুর সদর উপজেলার কৃষি সর্মৃদ্ধ এলাকা হলেও সরকারের গ্রামীন অর্থনৈতিক উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে লক্ষীরচর, রায়েরচর, টেবিরচর, তুলশীরচর, শ্রীপুর, বাশচড়া, তিতপল্লা সহ আরো বেশ কয়েকটি এলাকার প্রায় ২শাতাধিক যুব মহিলা যুব উন্নয়ন ও বিভিন্ন এনজিও থেকে টেইলাংি প্রশিক্ষন নিয়ে ব্যবসা খুলে বসেছে।

সরেজমিনে এ এলাকা গুলো ঘুরে কথা হয় বেশ কয়েকজন যুব মহিলার সাথে তারা এ প্রতিবেদক কে বলেন, এক সময় সংসার চালতে খুবই কষ্ট হতো। যুব উন্নয়ন ও বিভিন্ন এনজিও থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়ে কাপড়ের ব্যবসা করছি নাসিমা (৩৫) নামে একজন টেইলারিং শিল্পী জানান, এ সব গ্রামের অসংখ্য যুব মহিলারা টেইলারিং এর কাজ সচ্ছল ভাবে দিনাপিপাত করছে।

সরকারের এ প্রকল্প মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ, ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, বকশীগঞ্জ ও সরিষবাড়ী উপজেলায় ছড়িয়ে পড়েছে। গ্রামাঞ্চলের যুব মহিলারা হাট বাজারে টেইলারিং ব্যবসা করে যাচ্ছে।

সরেজমিনে মহাদান ভাটারা, কামরাবাদ, ডাংধরা, পাররামপুরসহ আরো বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা ও জানা গেছে এমন কোন বাড়ী নেই যুব মহিলারা টেইলারিং এর কাজ না করছে।

কথা হয় সালাম (২৮) এর সাথে। তিনি বলেন, এসএসসি পাশ করে দারিদ্রতার কারনে লেখাপড়া করতে পারেনি। এনজিও থেকে টেইলারিং প্রশিক্ষন ও আর্থিক সুবিধা নিয়ে ব্যবসা করছি। এতে পরিবারের স্বচ্ছলতা র্ফিরে এসেছে।

এ ব্যপারে জেলা কৃষক লীগের সভাপতি সৈয়দ মোখলেছুর রহমান জিন্নাহ বলেন, স্বনির্ভর দেশ গড়ার জন্য সরকার বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবাবয়ন করে যাচ্ছেন। সরকারের এ প্রকল্পের কারনে গ্রামীন যুব মহিলাদের আত্ম নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। ফলে গ্রামীন অর্থনীতির চাঙ্গা জোরালো গতিতে ঘুরছে।