ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা শেষেও বিপাকে ১১ দেশের শরণার্থীরা
কয়েকটি দেশের শরণার্থীদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ওপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ১২০ দিনের যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন, তার মেয়াদকাল শেষ হয়েছে। এর পরও ১১টি দেশের শরণার্থীদের প্রবেশ প্রক্রিয়া সাময়িকভাবে পিছিয়েছে তাঁর নেতৃত্বাধীন প্রশাসন।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়, তাদের হাতে আসা নথি অনুযায়ী, ওই ১১ দেশের বেশির ভাগই মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার।
মঙ্গলবার মার্কিন আইনসভা কংগ্রেসকে পাঠানো ও রয়টার্সের হাতে থাকা ট্রাম্প প্রশাসনের একটি নথি থেকে জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রে পুনর্বাসিত কিছু শরণার্থীর সঙ্গে পরিবারের পুনর্মিলন কর্মসূচিও সাময়িক বন্ধ রাখা হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা সুরক্ষায় এসব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে শরণার্থীদের পক্ষের অধিকারকর্মীরা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে শরণার্থীদের এমনিতেই কঠিন পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে। এর ওপর প্রবেশ প্রক্রিয়া পেছানোর মধ্য দিয়ে ১১ দেশের শরণার্থীদের ওপর কার্যত নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হলো।
ট্রাম্পের বেঁধে দেওয়া ১২০ দিন শেষ হয়েছে মঙ্গলবার। ওই দিনেই তিনি নতুন এক নির্বাহী আদেশে যুক্তরাষ্ট্রের শরণার্থী কর্মসূচি আবার চালু করেন।
ট্রাম্প প্রশাসনের নথিতে ১১ দেশের শরণার্থীদের প্রবেশের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র সরকার ৯০ দিন পর্যালোচনা করবে। এ সময়ে তারা ‘যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা ও কল্যাণে আরো অতিরিক্ত কী সুরক্ষা নেওয়া যায়, তা খতিয়ে দেখবে’।
২০১৬ সালের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়ে চলতি বছরের জানুয়ারিতে দায়িত্ব গ্রহণ করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর পরই নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, শরণার্থী ঠেকাতে তৎপর হন তিনি।
ক্ষমতায় আসার কিছুদিনের মধ্যেই মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কিছু দেশের সাধারণ নাগরিক ও শরণার্থীদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেন ট্রাম্প। পরে তাঁর এই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে অবস্থান নেন যুক্তরাষ্ট্রের আদালত।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন