ট্রাম্প-কিমের বৈঠকের আয়োজক কেন সিঙ্গাপুর?
সিঙ্গাপুর এমনিতেই একটি সমৃদ্ধশালী দেশ। রাজনৈতিকভাবেও নিরপেক্ষ। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেও সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ ও দৃঢ়। আবার সিঙ্গাপুর হচ্ছে সেই অল্প কয়েকটি দেশগুলোর মধ্যে একটি যেখানে উত্তর কোরিয়ার দূতাবাস রয়েছে।
ব্রিটেনের সাবেক উপনিবেশ সিঙ্গাপুর খুবই সুশৃঙ্খল, কঠোর আইন বাস্তবায়ন করে সেখানে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়। এমনকি দেশটিতে অকারণে রসিকতা করারও কোনো সুযোগ নেই।
সিঙ্গাপুর পৃথিবীর একমাত্র দেশ যেখানে চুইং গাম নিষিদ্ধ। প্লেবয়ের মত অ্যাডাল্ট ম্যাগাজিনের প্রবেশাধিকারও সেখানে নেই। যেকারণে দেশটিকে ‘ন্যানি স্টেট’ বলা হয়।
সেখানে অপরাধের শাস্তি অত্যন্ত কঠোর। দেশটিতে লুটপাট ও ভাংচুরের জন্য বেত্রাঘাতের শাস্তি আছে, মাদক পাচারকারীদের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।
সিঙ্গাপুরে জনবিক্ষোভ একেবারে বিরল ঘটনা ছাড়া কিছু না।
দেশটির ম্যানেজমেন্ট ইউনিভার্সিটির আইনের অধ্যাপক ইউজেন তান বলেন, নিশ্চিতভাবেই সিঙ্গাপুর অত্যন্ত সুশৃঙ্খল এবং নিরাপদ একটি দেশ।
দেশটি যেন দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার সুইজারল্যান্ড। এ কারণেই এরকম একটি সংবেদনশীল এবং কূটনৈতিক আলোচনার জন্য যুক্তরাষ্ট্র এবং উত্তর কোরিয়া উভয় দেশের কাছে সিঙ্গাপুরকে আকর্ষণীয় ও গ্রহণযোগ্য মনে হয়েছে।
তিনি বলেন, আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থার কঠোর বাস্তবায়নের কারণে ট্রাম্প ও কিমকে বড় ধরনের নিরাপত্তা হুমকিতে পড়তে কিংবা সড়কে বিক্ষোভ মোকাবেলা করতে হবে না।
এ কারণে দুই নেতা মনোযোগ দিয়ে আলোচনা করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন আইনের অধ্যাপক ইউজেন।
ট্রাম্প-কিম সম্মেলনের খবর সংগ্রহ করতে সারা বিশ্ব থেকে প্রায় তিন হাজার সাংবাদিক সিঙ্গাপুরে যাবেন।
দেশটির অভিজাত সাংরি-লা হোটেলে উঠেছেন ট্রাম্প। হোটেলটির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভারি অস্ত্রসজ্জিত গোর্খা সেনাদের আগে থেকেই সেখানে মোতায়েন করা হয়েছে।
সেই উপনিবেশ আমল থেকেই নেপালের সেনাবাহিনীর সদস্যরা সিঙ্গাপুর পুলিশের বিশেষ বাহিনীর সদস্য হিসেবে কাজ করে, যারা গোর্খা সেনা নামে পরিচিত।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন