ঠাকুরগাঁওয়ে অভিযোগের ৮ দিনের মাথায় সমাধান দিলেন লিগ্যাল এইড অফিসার, খুশি ভুক্তভোগীরা
ঠাকুরগাঁও হরিপুর উপজেলায় তিনজন ভূমিহীনকে সরকারের দেয়া এক একর দুই শতক জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ওই তিনজন ভুক্তভোগী জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার ও সিনিয়র সহকারী জর্জ কে একটি লিখিত অভিযোগ দিলে আট দিনের মাথায় বিষয়টি সমাধান করে দেন লিগ্যাল এইড অফিসার হুমায়ুন কবীর।
ভুক্তভোগী ওই তিনজন হলেন,হরিপুর উপজেলার মোড়াধাক এলাকার মৃত নিয়াজ উদ্দীনের ছেলে মজিবর রহমান,বোনবাড়ী ডাঙ্গী এলাকার মৃত আলতাফ হোসেনের ছেলে নজরুল ইসলাম ও শতিকাটা বন্দর এলাকার মৃত সোহরাব আলীর ছেলে সাজেমান।
যানা যায়, ১৯৮৯ সালে সরকারের নিয়ম মেনে ৯৯ বছরের জন্য লীজ নিয়ে প্রতি বছর সরকাকে খাজনা পরিশোধ করে ভোগ দখল করে আসছেন হরিপুর উপজেলার মজিবর রহমান,নজরুল ইসলাম ও সাজেমান। যেখানে ওই তিনজন ব্যক্তি ফসল আবাদ করে আসছে। চলতি বছরের ৮ আগস্ট স্থানীয় ইউনুস,আজিজ ও মোস্তফার নেতৃত্বে কয়েজন এসে গায়ের জোরে সরকার থেকে দেয়া ওই জমিতে জোর করে ধান লাগিয়ে দেয়।
এসময় তাদের বাধা দিতে গেলে তারা মারপিট করেন গুরুতর জখম করেন ভুক্তভোগীর পরিবারের লোকজনদের। সেই সাথে তাদের মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে থাকে। পরবর্তীতে এই ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী মজিবর রহমান,নজরুল ইসলাম ও সাজেমান।
তবে বিষয়টির কোন সমাধান না পেয়ে অবশেষে চলতি বছরের ১৪ অক্টোবর জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার ও সিনিয়র সহকারী জর্জ হুমাইয়ুন কবিরের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেন ওই তিনজন ভুক্তভোগী। অবশেষে অভিযোগের ৮ দিনের মাথায় সুষ্ঠু বিচার পেয়ে খুশি ভুক্তভোগীরা।
ভুক্তভোগীরা বলেন, সরকারি সকল নিয়ম মেনে আমরা আমাদের সেই জমিতে আবাদ করে আসছি। সেখানে গায়ের জোর খাটিয়ে ইউনুস,আজিজ ও মোস্তফার নেতৃত্বে কয়েজন এসে আমাদের জমি দখল করে। আমরা বিষয়টি নিয়ে মামলা করেছিলাম কিন্তু আসামীরা জামিন নিয়ে নেয়।
কোন উপায় না পেয়ে আমরা চলতি বছরের অক্টোবর মাসে জেলা লিগ্যাল এইড অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দেই। তিনি ৮ দিনের মাথায় অভিযুক্ত ওই ব্যক্তিদের ডেকে এনে শুনানীর মাধ্যমে আমাদের জমি হরিপুর থানা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বুঝিয়ে দেবার নির্দেশ দেন।
ভুক্তভোগী মজিবর রহমান বলেন,বেশ কিছুদিন ধরেই এগুলো নিয়ে অনেক ঝামেলায় ছিলাম। পরে লিগ্যাল এইড অফিসারের কাছে অভিযোগ করেছি। ভাবছিলাম টাকা ছাড়া কাজ হবেনা। তবে এখানে আসার পর দেখলাম পুরাটাই উল্টো। বিনা পয়সায় অভিযোগ করার ৮ দিনের মধ্যে আমাদের জমি আবারো আমাদের বুঝিয়ে দিলেন। ধন্যবাদ জানাই লিগ্যাল এইড অফিসারকে।
জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার ও সিনিয়র সহকারী জর্জ হুমায়ুন কবীর বলেন,জমির কাগজ যার হবে জমি সেই পাবে। অন্যায় করে কেউ কারো জমি দখল করে রাখবে তার সুযোগ নেই। আমার এখানে অভিযোগ ছিলো। আমি দুই পক্ষকে ডেকে এনেছি। তাদের কথা শুনেছি, সেই সাথে সকল কাগজ দেখেছি।
জমিগুলো মজিবর রহমান, নজরুল ইসলাম ও সাজেমান দীর্ঘদিন ধরে আবাদ করে আসছেন সকল নিয়ম মেনেই। তাই হরিপুর থানা ও উপজেরা নির্বাহী অফিসারকে তাদের জমি বুঝিয়ে দেবার নির্দেশ দিয়েছি। এরপরেও যদি কোন সমস্যার সৃষ্টি করার চেষ্টা করে তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি আরো বলেন,আমি এই চেয়ারে বসেছি মানুষের সেবা করার জন্য। মানুষের সেবা করাই আমার কাজ। এই নিয়ম মেনেই কার্যকলাপ চলবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন