ঠাকুরগাঁওয়ে লাইসেন্স ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে মালিক-শ্রমিকদের বিক্ষোভ সমাবেশ

ঠাকুরগাঁও পৌরসভা কর্তৃক ব্যাটারিচালিত রিক্সা, ভ্যান ও ইজিবাইকের লাইসেন্স ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে এবং পাঁচ দফা দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে শ্রমিক এবং মালিকরা।

রোববার (১৩ আগস্ট) দুপুরে অধিকার রক্ষা সংগ্রাম পরিষদ ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার আয়োজনে শহরের চৌরাস্তায় এবং ঠাকুরগাঁও পৌরসভা কার্যালয় চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন তারা। এতে শ্রমিক অধিকার রক্ষা সংগ্রাম পরিষদ ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার আহবায়ক মাহাবুব আলম রুবেলের নেতৃত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে জেলার শতাধিক ব্যাটারিচালিত রিক্সা,ভ্যান ও ইজিবাইক চালক এবং শ্রমিকরা অংশ গ্রহণ করেন।

ইজিবাইক শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. বেলাল হোসেন বলেন, ‘দীর্ঘ ৬-৭ বছর ধরে আমরা পৌরসভার টোল ও লাইসেন্স ফি নিয়ে আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছি। আন্দোলন সংগ্রামে প্রেক্ষিতে পৌরসভা টোল আদায় কিছুদিন আগে বন্ধ করলেও এখন তারা লাইসেন্স ফি বৃদ্ধি করেছে। তাই লাইসেন্স ফি কমানোসহ ৫ দফা দাবিতে আমরা আবারও আজকে বিক্ষোভ সমাবেশ করছি।,

বিক্ষোভ সমাবেশে অশংগ্রহণকারি জেলা ইজিবাইক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ফরিদ হোসেন বলেন, ‘নিত্য প্রয়োজনিয় জিনিসের দাম বাড়লেও রিক্সা ভ্যান শ্রমিকদের মাসিক আয় বাড়েনি কিন্তু পৌরসভা কর্তৃক ব্যাটারিচালিত রিক্সা,ভ্যান ও ইজিবাইকের লাইসেন্স ফি ৬৫০ টাকা থেকে ২ হাজার টাকা করা হয়েছে। এটি শ্রমিক ও মালিকদের উপর নির্মম অত্যাচারের সামিল।,

তাদের দাবি না মানলে তারা আগমীতে রাস্তাঘাটে বৃহত্তর আন্দোলনের করার হুশিয়ারি দেন মো. শাজাহান। তিনি বলেন, ‘আগে আমাদের কাছে প্রতিদিন ১০ টাকা কলে টোল নিতো পৌরসভা ও বর্ষরে লাইসেন্স ফি নিত ৬৫০ টাকা। এখন সেই লাইসেন্স ফি নিচ্ছে ২ হাজার টাকা। আমাদের তো আয় ইনকাম আগের থেকে বাড়েনি। এতো টাকা আমরা কিভাবে দিবো। আমরা চাই তারা আগের আগের নির্ধারিত ফি বহাল রাখুক।

বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে তারা পৌর মেয়র বরাবরে একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন। স্মারকলিপিতে তারা উল্লেখ করেছেন, ‘স্থানীয় সরকার পৌরসভা আইন ২০০৯ এ পৌরসভার দায়িত্ব ও কার্যাবলীতে সামাজিক ও অর্থনৈতিক ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে পরিকল্পনা প্রণয়নের কথা বলা হয়েছে। অথচ আমরা লক্ষ্য করছি এ আইনের বিপরীতে অবস্থান করছে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। সরকার নাগরিকের স্বার্থে আইন প্রণয়ন করে আবার সেই আইন পৌরসভা অমান্য করে ব্যাটারি চালিত রিক্সা ভ্যান ও ইজিবাইক শ্রমিকদের উপর সরকারের নির্ধারিত ফি ব্যতীত আরও অতিরিক্ত ফি চাপিয়ে দিয়ে শ্রমিকদের সাথে অনৈতিক ও সামাজিক অবিচার করছে।

এবিষয়ে ঠাকুরগাঁও পৌরসভার মেয়র আঞ্জুমান আরা বেগম বন্যা বলেন, ‘রিক্সা, ভ্যান চালক শ্রমিকরা একটি স্মারকলিপি দিয়েছে। তাদের কাছ থেকে আগে দৈনিক ১০ টাকা ও বছরে ৬৫০ টাকা করে লাইসেন্স ফি নেওয়া হতো। তাতে বছরে তাদের প্রায় সাড়ে ৪ হাজার টাকা দিতে হতো। আমরা তাদের দিক বিবেচনা করে দৈনিক ১০ টাকা টোল আদায় বন্ধ করে দিয়ে শুধু বছরে লাইসেন্স ফি ২ হাজার টাকা নির্ধারণ করেছি। তার পরেও এখন তাদের আপত্তি। তাদের এই বিষয়টি আমি বিবেচনা করে দেখবো।