ঠাকুরগাঁওয়ের ভূল্লীতে অসহায় শীতার্তদের পাশে পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর হোসেন

উত্তর জনপদে হঠাৎ করে জেঁকে বসেছে শীত। এতে কষ্ট বেড়েছে খেটে খাওয়া দিনমজুর ও ছিন্নমূল মানুষের। পৌষের শেষের দিকে বেড়েছে কনকনে শীত। রাতে প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে নেই। গরম কাপড় জড়িয়ে উষ্ণতা নিচ্ছেন সামর্থবানরা।

কিন্তু চরম বিপাকে পড়েছে ভবঘুরে, আশ্রয়ন প্রকল্পে বসবাসকারী, বেদে সম্প্রদায়, অসহায় ও ছিন্নমূল মানুষ। শীতের তীব্রতায় রীতিমতো কাঁপছে তারা। ফলে এসব অসহায় মানুষের কাছে শীতবস্ত্র পৌঁছে দিতে অক্লান্তভাবে কাজ করে যাচ্ছেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন।

শনিবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে ঠাকুরগাঁও জেলা পুলিশের উদ্যোগে নবগঠিত ভূল্লী থানার ৫ ইউনিয়নের হতদরিদ্র ও অসহায় শীর্তাতদের মাঝে ৩ শত কম্বল বিতরণ করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, আসাদুজ্জামান আসাদ, ভূল্লী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি), একেএম আতিকুর রহমান, ১৫ নং দেবীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন প্রমূখ।

কনকনে শীতে পুলিশের এ মহতি কাজের ভুয়সী প্রশংসা করছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও জনসাধারণ।

এদিকে কম্বল পেয়ে অসহায় শীতার্ত মানুষগুলোর মুখে হাসি ফুটেছে। তারা বলেন, কনকনে শীতে তাদের জীবন-যাপন বড় কষ্টের হয়ে দাঁড়িয়েছে। শীতকে উপেক্ষা করে পুলিশ সুপার তাদের হাতে কম্বল তুলে দেয়ায় পুলিশের জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে দোয়া করেন অনেকে।

পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, এই শীতের মধ্যে সবচেয়ে বেশি কষ্টে থাকে ছিন্নমূল অসহায় দরিদ্র মানুষগুলো। এ শ্রেণীর মানুষগুলো এমনিতেই অসহায়ভাবে জীবন-যাপন করে থাকে। গত কয়েক দিন ধরে সারাদেশে বইছে হাড় কাঁপানো ঠান্ডা। বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগ-ব্যাধি। যাদের শীত নিবারনের ব্যবস্থা নেই। তাই জেলা পুলিশ প্রশাসনের উদ্যোগে শীতার্তদের জন্য কম্বল সবার আগে এদের মাঝে বিতরণ করেছি।

পাশাপাশি জেলা ও উপজেলা প্রশাসনও অসহায় শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। এ সময় তিনি সমাজের বৃত্তবানদেরকে এসকল অসহায় শীতার্তদের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানান।
কম্বল বিতরণের সময় স্থানীয় সাংবাদিক বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।