ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈলে পাকা রাস্তায় ধান শুকানোর মহোৎসব; অভিযানে ইউএনও

রাস্তার দুইপাশে ধান আর ধান। পুরো রাস্তা যেন পরিণত হয়েছে ধান শুকানোর মাঠে।

ঠাকুরগাঁয়ের রানীশংকৈলে ২৫ মে (বুধবার) সকালে কৃষকদের পাকাসড়কে ধান শুকানোর এমনই চিত্র দেখা গেছে রানীশংকৈল উপজেলার শিবদিঘী থেকে নেকমরদ মহাসড়কের প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে।

স্থানীয় কৃষকরা জানান, তাদের বাড়িতে ধান শুকানোর জন্য পর্যাপ্ত উঠোন বা জায়গা না থাকায় রাস্তার মধ্যে ধান শুকাতে হচ্ছে।
আর স্বল্প সময়ের মধ্যে ধান শুকাতে যে রোদের প্রয়োজন, তা অনেকের বাড়িতে পাওয়া যায়না। ফলে বেশিরভাগ কৃষক পরিবার তাদের বোরো ধান শুকানোর জন্য রাস্তা ধান শুকানোর খোলাট বা চাতাল হিসেবে বেছে নিয়েছেন।

তাই কৃষকদের উৎপাদিত ধান রাস্তায় বিছিয়ে দেন তারা। দুই বা তিন দিনের রোদে সে ধান পুরোপুরি শুকিয়ে বস্তা ভরে সংরক্ষণ করেন তারা।
কৃষকের উৎপাদিত ধান শুকানোর জন্য পর্যাপ্ত উঠান বা মাঠ না থাকায় তারা রাস্তায় শুকান। এটি মহাসড়ক হওয়ায় যানবাহনের চাপ থকে অনেক বেশী। এর পরেও কৃষকরা অনায়াসে রাস্তায় ধান বিছিয়ে দিচ্ছেন। এর মধ্যে দেখা যায় অনেকে ধান মারার মেশিন রাস্তার পাশে বসিয়ে মাড়াই কাজে ব্যস্ত।
ধান পুরোপুরি শুকিয়ে গেলে বস্তায় ভরে দীর্ঘদিন সংরক্ষণের জন্য রেখে দেন। কেউ আবার অর্থের প্রয়োজনে রাস্তা থেকেই বিক্রি করে দিচ্ছেন।

অপরদিকে ধানের খড় রাস্তায় শুকানোর কারণে বড় রকম দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন অনেকে। পরে বিষয়টি ফেসবুকে প্রচার হওয়ার পরেই উপজেলা প্রশাসন তথা ইউএনও সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির নিজ উদ্যোগে উপজেলার দু’জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সাথে নিয়ে পরিদর্শনে যান।
রাস্তার দু’পাশে দেখতে পান কৃষকের ধান শুকানোর মহোৎসব।

ইউএনও নিজে দাঁড়িয়ে থেকে উপস্থিত কৃষকদের রাস্তা থেকে ধান ও খড় সড়িয়ে নিতে বলেন। এবং নিজেদের সচেতন হওয়ার পাশাপাশি অন্য জনকেও সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন।

ইউএনও স্টিভ কবির বলেন, প্রথম পর্যায়ে সরকারিভাবে সচেতন করা হয়েছে । এর পর রাস্তায় ধান শুকানো হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।