ঠাকুরগাঁওয়ে নিম্নবিত্তের হাতের নাগালের বাইরে তরমুজ, দাম আকাশচুম্বী


ঠাকুরগাঁওয়ে রমজান উপলক্ষে বাজারে আগাম তরমুজ উঠেছে। তবে মৌসুমি এ ফলের দাম অনেক বেশি হওয়ায় ক্রেতারা কিনতে পারছেন না। বিশেষ করে এ ফলটি কেনা নিম্ন ও মধ্যবিত্ততের প্রায় হাতের নাগালের বাইরে চলে গেছে। পৌর শহরের কালিবাড়ি, কোর্ট চত্বর, পুরাতন বাসষ্ট্যান্ড, সত্যপীর ব্রীজ, গোধুলী বাজার, মন্দিরপাড়া, ঠাকুরগাঁও রোড যুব সংসদ মাঠ সহ বেশ কিছু এলাকা ঘুরে দেখা যায়, তরমুজের অস্থায়ী বাজার। ৩০ মার্চ বৃহস্পতিবার পৌর শহরের বিভিন্ন বাজারে তরমুজের বাজারদর ছিল, কেজি প্রতি প্রায় ৫০-৭০ টাকা পর্যন্ত।
বর্তমানে ঠাকুরগাঁও জেলায় উৎপাদনকৃত তরমুজ বাজারে উঠেনি। ব্যবসায়িরা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে রমজানকে লক্ষ্য করে বড় মাপের তরমুজ ঠাকুরগাঁও জেলায় এনে বিক্রি করছেন। এতে করে প্রতিটি তরমুজ ১০ থেকে ১৫ কেজি বা এর চেয়েও বেশি ওজনের। ফলে প্রতিটি ১৫ কেজির তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৮শ থেকে ৯শ টাকায় যা নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের ক্রয়ক্ষমতার বাহিরে। ফলে ক্রেতারা খুব বেশি তরমুজ কিনছেন না।
ঠাকুরগাঁও পৌর শহরের কালিবাড়ী বাজারে তরমুজ ক্রেতা শারমিন আক্তার বলেন, রমজান মাসে বাচ্চারা তরমুজ খেতে চায়। কিন্তু এখানে দামাদামি করে জানলাম ১২ কেজির ছোট তরমুজটি আমাকে কিনতে হবে ৭২০ টাকায়। এত টাকা দিয়ে কি একটি তরমুজ কেনা সম্ভব। ঠাকুরগাঁও পুরাতন বাসষ্ট্যান্ডের ঔষুদের ফার্মেসির মালিক আতাউর রহমান বলেন, তরমুজ কিনতে এসে দাম জেনে চিন্তিত। একটি মাঝারী মানের তরমুজ ৬-৭শ টাকা দিয়ে কিনতে হবে। তরমুজ কিনবা না, আর কিছুদিন পরে যখন আরও বেশি পরিমানে তরমুজ বাজারে উঠবে তখন ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে হলে কিনব। কালিবাড়ি বাজার ও কোট চত্বরের কয়েকজন তরমুজ বিক্রেতা জানান, রোজায় তরমুজের চাহিদা থাকে প্রচুর। তাই দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আগাম তরমুজ বাজারে আনা হয়েছে। আগাম তরমুজের বর্তমানে দাম কিছুটা বেশি। কেজি প্রতি তরমুজ ৩৫ থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। কেনা বেশি হওয়ায় বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে বলে জানান তারা।
ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো: সিরাজুল ইসলাম বলেন, এ বছর ঠাকুরগাঁও জেলায় ১০ হাজার হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে। কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের যাবতীয় পরামর্শ ও সেবা প্রদান করা হয়েছে। আর কিছুদিনের মধ্যে জেলার তরমুজ বাজারে উঠতে শুরু করবে। মাঠ পর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে জেনেছি ফলনও ভাল হয়েছে এবং কৃষকেরা এ বছর তরমুজের ন্যার্য্য দাম পাবেন বলে প্রত্যাশা করছি।

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন