ঠাকুরগাঁওয়ে ফুল শুন্য শহীদ মিনার, ক্ষোভ সাংস্কৃতি ব্যক্তিত্ব ও স্থানীয়দের

একুশে ফেব্রুয়ারি মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ধুয়ে-মুছে পরিপাটি করলেও একুশের প্রথম প্রহরের রাত একটার পরেও ফুল শুণ্য থাকে ঠাকুরগাঁও শহরের প্রাণ কেন্দ্রে আশ্রমপাড়া শিশুপার্ক চত্বরের শহীদ মিনারটি। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।

একুশের প্রথম প্রহরে পেরিয়ে রাত একটা পাঁচ মিনিট পর্যন্ত ফুল মিনারটি ফুল শুণ্য থাকায় বিস্মিত স্থানীয়রাও।

স্থানীয়রা জানান, গেল বছরেও এই শহীদ মিনারে একুশের প্রথম প্রহরে রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি ব্যক্তিগতভাবে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করলেও এবার যেন কেউ খেয়াল করেন নি এই শহীদ মিনারটিকে। ফলে ফুল শুণ্য অবস্থায় পরে থাকে রাত একটা পাঁচ মিনিট পর্যন্ত।

কর্ণেট সাংস্কৃতি সংসদ সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম প্রবাল জানান, সংগঠনের পক্ষে একুশের প্রথম প্রহরে সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় চত্বরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর ফুল নিয়ে শহরের আশ্রমপাড়া শহীদ মিনারে উপস্থিত হই। তখন ঘড়ির কাটার রাত ১ টা পাঁচ মিনিট। এসে দেখি ফুল শুন্য মিনার। আমরা বিস্মিত হয়েছি তা দেখে। প্রতি বছর ১২ টা এক মিনিটে এই শহীদ মিনারে ফুলের শ্রদ্ধা জানান অনেকে কিন্তু এবার কেন এমন হলো তা ভেবে উঠতে পারছিনা।

অথচ ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য আগের দিন ধুয়ে মুছে পরিপাটি করা হয়। বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আনা প্রয়োজন ছিল বলে আমরা মনে করি। পরে কর্ণেট সাংস্কৃতি সংসদের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে ফিরে যাই। তখন পর্যন্তও আর কেউ ফুল দেননি মিনারটিতে। ফুল শুন্য শহীদ মিনারের চারপাশের মানুষরাও হতাশ এমন দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখে।

এ বিষয়ে প্রবীণ সংবাদকর্মী সৈয়দ আব্দুল করিম জানান, সরকারি স্থাপনায় যেসব শহীদ মিনার রয়েছে। সেগুলোতে কেউ ফুল দেক আর না দেক প্রশাসনের উচিত ছিল সঠিক সময়ে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর। আমি মনে করি অবমুল্যায়ন করা হয়েছে শহীদদের প্রতি। তার ব্যর্থতার দায় প্রশাসন এড়াতে পারে না। আমরা এর নিন্দা জানাই। পরবর্তিতে এমন ভুল যেন না হয় সে বিষয়ে সজাগ থাকার অনুরোধ থাকবে প্রশাসনের প্রতি।