ঠাকুরগাঁওয়ে মেলার নামে চলেছ অশ্লীল নৃত্য, অতিষ্ঠ এলাকাবাসী, নির্বাক প্রশাসন!
ঠাকুরগাঁওয়ের সীমান্তবর্তী দিনাজপুরের ঐতিহাসিক কালি মেলা উপলক্ষে চলছে রাতভর অশ্লীল নৃত্য, জুয়া ও অসামাজিক কার্যকলাপ। আর এসব প্রদর্শনীতে দর্শক সারিতে ভিড় করছে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা ও এলাকার যুবসমাজ।
জানাযায়, গত সোমবার থেকে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা গড়েয়া ইউনিয়নের শেষ সীমানা চৌদ্দহাতকালি এলাকায় কালিপূজা উপলক্ষে চলছে অশ্লীল নৃত্য। অবাধে চলছে জুয়া এবং অসামাজিক কার্যকলাপ। এতে সন্তানদের নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন অভিভাবকরা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, আট দিন ধরে কালি মেলার নামে সন্ধ্যার পর চলছে অশ্লীল নৃত্য রমরমা লটারী বানিজ্য ও জুয়ার আসর। দিনে মেলা প্রাঙ্গণে সাধারণ দর্শণার্থীর উপস্থিতি কম কিন্তু রাতে সে চিত্র পুরো ভিন্ন। র্যাফেল ড্র ও অশ্লীল নাচগান দেখতে এক শ্রেণীর দর্শকের উপস্থিতি ব্যাপক বেড়ে যায়। এসব কিছুর পরও স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয়রা।
এলাকার স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা জানায়, সন্ধ্যা নামার সাথে সাথেই মাইকে উচ্চস্বরে অশ্লীল গান-বাজনা শুরু হয়। এ কারণে পড়ালেখায় মনোযোগ দিতে পারছি না।
জব্বার, হাবিব ও আরিফ জানান, মেলায় যাত্রা ও ভ্যারাইটি শোর নামে প্রকাশ্যে যে অশ্লীল নাচ-গান চলছে, তাতে উঠতি বয়সের কিশোর ও যুবকেরা নষ্ট হতে বাধ্য। আমরা কিছু বললেই মেলা আয়োজকের লোকজন হুমকি-ধামকি দেয়। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনও কোন ব্যবস্থা নেয় না। তবে মেলা কমিটির কেউ কথা রাজী হননি।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মোঃ সামসুজ্জামান এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, মেলাটি ঠাকুরগাঁওয়ের শেষ সীমানায় পড়েছে দিনাজপুর জেলায়। তারপরেও আমি প্রশাসনকে অবগত করব।
এ ব্যাপারে বীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিনাত রেহানা সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি মুঠোফোনে জানান, মেলায় পুলিশ সদস্যরা নিয়োজিত আছে। লটারি, জুয়া ও অশ্লীল নৃত্য সম্পর্ন নিষিদ্ধ রয়েছে। তার পরেও যদি হয়ে থাকে বা নিয়োজিত পুলিশ সদস্যরা আমাকে জানায় আমি তৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবো।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন