ঠাকুরগাঁওয়ে রাস্তা কেটে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করার অভিযোগ
ঠাকুরগাঁওয়ে পীরগঞ্জে সরকারি পাকা রাস্তা কেটে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করার অভিযোগ উঠেছে এক প্রভাবশালী পরিবারের বিরুদ্ধে। এতে সেই রাস্তা দিয়ে যাতায়াতকারী প্রায় কয়েক হাজার মানুষ পড়েছে চরম বিপাকে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের এই রাস্তাটি ৮০ বছর যাবৎ সাধারণ মানুষ চলাচল করে আসছেন।
কিন্তু এই রাস্তাটি ২’বছর আগে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর পাকাকরণ করলে রাস্তা কেটে চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন পীরগঞ্জ উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বারের ছেলে আলী হোসেন ও সোলেমান আলী, মঞ্জিলসহ কয়েকজন।
জানা গেছে, উপজেলার ৮নং দৌলতপুর ইউপির দৌলতপুর গ্রামের ব্র্যাক অফিস সংলগ্ন বিএসবি ভাটাসহ রংপুরীয়া বস্তি, গোয়ালপাড়া, ডাঙ্গীপাড়ার রাস্তাটির মাঝখানে জোরপূর্বক বাঁশের বেড়া ঢেউ টিনের চালা বিশিষ্ট ঘর তৈরি করে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করার পরেও থেমে নেই প্রভাবশালীরা। এবার সরকারি পাকা রাস্তাটি কেটে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ঐ এলাকার আলী হোসেনের পরিবারের বিরুদ্ধে। এতে সেই এলাকায় বসবাসরত হাজার হাজার মানুষের চলাচলের বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান।
গ্রাম গুলোর মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়লে রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে আসা ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে তাদের গাড়ী নিয়ে প্রবেশ করতে না পারায় দীর্ঘদিন ধরে বেশ দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন সেই এলাকার বাসিন্দারা। স্থানীয়দের দাবী দীর্ঘ ৭০ থেকে ৮০ বছর ধরে এ রাস্তাটি উন্মুক্ত ছিল। আমরা চলাচল করতাম নিরবিঘ্নে কিন্তু আলী হোসেনসহ আরো কয়েকজন ব্যক্তি সরকারি পাকা রাস্তাটি কেটে গর্ত তৈরি করে চরম ভাবে অসুবিধায় ফেলেছে আমাদের। আমরা চাই রাস্তাটির কেটে ফেলা গর্ত গুলো মেরামত করে পাকা করে দেন এটাই প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করছি।
তবে রাস্তা বন্ধ করার বিষয়ে আলী হোসেনসহ অন্যান্য অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তারা ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হয়নি তারা। সরকারি পাকা রাস্তা কেটে যারা সাধারণ মানুষের যাতায়াতের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে তাদের বিচার ও দ্রুত এই রাস্তাটি মেরামতের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে ৮নং দৌলতপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সনাতন চন্দ্র রায় বলেন, এই বিষয়টি নিয়ে আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে কথা বলেছি। আমাকে যদি সেই এলাকার কেউ লিখিত অভিযোগ দেয় আমি চরম ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
পীরগঞ্জ উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা রেজাউল করিম জানান, আমি স্থানীয় চেয়ারম্যান ও এলাকাবাসীদের বলেছি তাদের বিরুদ্ধে ফোজধারী মামলা দেওয়ার জন্য এলজিইডিকেও বলা হয়েছে মামলার করার জন্য তাদের রাস্তা কেটে ফেলা হয়েছে। আমি এর আগে গিয়ে বন্ধ করে দেয়া রাস্তা খুলে দিয়ে আসছিলাম।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন