ঠাকুরগাঁওয়ে শহীদ মিনারে বায়ান্নের মিছিলের মতো জনতার ঢল

১৯৫২ সালের এই দিনে বাংলার পরিবর্তে উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা ঘোষণার প্রতিবাদে আপামর বাঙালি জনতার মিছিলের ঢল নামে ঢাকার রাস্তায়। পাকিস্তানি পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান রফিক, জব্বার, বরকত, সালামরা। তাদের স্মরণে আজকের এই দিনে মাতৃভাষার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে শহীদ মিনারে ঢল নেমেছে জনতার। জনতার ঢল যেন ফিরিয়ে দেয় বায়ান্নের অনুভূতি।

মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২টা ১ মিনিটে প্রথম প্রহরে কুমারপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে শহীদ মিনারে শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন ভূল্লী থানা অফিসার ইনচার্জ ওসি একেএম আতিকুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম।

পরে পর্যায়ক্রমে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, বিএনপি, বালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ, ভূল্লী প্রেস ক্লাব, ভূল্লী প্রতিবন্ধী উন্নয়ন সংঘ, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন ফুল দিয়ে শহীদদের শ্রদ্ধা জানান।

এছাড়াও স্বেচ্ছাসেবকলীগ, ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ পুস্পার্ঘ অর্পন করেন। নির্মিত শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ।

এ সময় আলোয় আলোকিত হয় ভূল্লী কুমারপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শহীদ মিনার। শ্রদ্ধা জানাতে আসা এসব মানুষের হাতে ছিল নানান রকমের ফুল। কেউ শুধু একটি করে গোলাপ আবার কেউ ফুলের তোড়া ও ডালায় নিজেদের সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের নাম লিখে প্রবেশ করেন শহীদ মিনারে। তাদের অনেকের পরনে ছিল কালো পাঞ্জাবি। অনেকে বুকে লাগিয়েছেন কালো ব্যাজ।

শহীদ মিনারের আলোক সজ্জা ও সাজ সজ্জার করেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ভূল্লী ত্রিড়া, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সংঘ।
পরে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে নিহত শহীদদের আত্বার মাগফেরাত কামনায় দোয়া করা হয়।