ডাকসু নির্বাচনের খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ
২৮ বছর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ- ডাকসু নির্বাচনের লক্ষে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বুধবার সকালে উপাচার্য ভবনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত সব শিক্ষার্থীর তালিকা প্রকাশ করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান।
চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রণয়নের মাধ্যমে আগামী বছরের মার্চে ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে আশাবাদী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে, হলগুলোতে সহাবস্থান না থাকা ও ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করার সুযোগ না পাওয়ায়, নির্ধারিত সময়ে ডাকসু নির্বাচন সম্ভব নয় বলে মনে করে কয়েকটি ছাত্র সংগঠন।
১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পরের বছর থেকে কার্যক্রম শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ- ডাকসু। তবে ১৯৯০ সালের ডাকসু নির্বাচনের পর দীর্ঘ প্রায় ২৮ বছর ধরে অচল থাকা এই ছাত্র সংসদটি, সচল করার লক্ষে বুধবার ডাকসু নির্বাচনের খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
ভিসি ড. আখতারুজ্জামান বলেন, ভোটার তালিকা বলতে যা বোঝায় সেটি ঐ নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হলে এখান থেকে ভোটার তালিকা প্রস্তুত হবে।’
ডাকসু নির্বাচন সামনে রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেখা গেছে উৎসাহ- উদ্দীপনা। তবে, কয়েকটি ছাত্র সংগঠনের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয় হলগুলোতে সহাবস্থান নিশ্চিত ও ক্যাম্পাসে রাজনীতির সমান সুযোগ প্রতিষ্ঠায় ব্যর্থ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আর তাই ডাকসু নির্বাচন নিয়েও মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে ছাত্র নেতাদের।
ছাত্রদল সহ সাংগঠনিক জাকিউল ইসলাম শাহীন বলেন, ‘এত বড় একটা সংগঠনকে বাইরে রেখে ঢাবির কর্তৃপক্ষ যদি মনে করে যে তারা ডাকসু নির্বাচন করতে পারবে এটা আমিসহ সমগ্র ছাত্র সমাজ মনে করে না।’
ঢাবি ছাত্রলীগ সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাস বলেন, ‘তারা যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক পরিবেশ নষ্ট না করে সুন্দরভাবে অবস্থান করতে পারে তাতে আমাদের কোন বাঁধা নেই। কিন্তু তারা যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ নষ্ট করতে চায় তবে আমরা শক্ত হাতে তা দমন করবো।’
ঢাবি শাখার ছাত্র ইউনিয়ন সা. সম্পাদক রাজিব দাস বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনও সহ অবস্থান তৈরি হয় নাই। এখন এই অবস্থান থেকে সামনে ডাকসু নির্বাচন দেয়া সম্ভব নয়।’
দীর্ঘ সময় স্থগিত থাকার পর ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠান বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
ঢাবির শিক্ষক সমিতি সভাপতি অধ্যাপক ড. আ স ম মাকসুদ কামাল বলেন, যখন ডাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়ে যাবে তখন স্ব স্ব ছাত্র সংগঠন যারা আছে, তারা তাদের কার্যকলাপ পরিচালনা করবে। তাদের কোনো সমস্যা হলে তখন যিনি নির্বাচন কমিশন আছেন, তার কাছ থেকে সমাধান নিতে পারবেন।’
প্রকাশিত খসড়া ভোটার তালিকায় ৩৮ হাজার ৪৯৩ জন শিক্ষার্থীর নাম রয়েছে। এর মধ্যে ২৩ হাজার ৯৮৪ জন ছাত্র এবং ১৪ হাজার ৫০৯ জন ছাত্রী।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন