ডেঙ্গু জ্বর কি শুধু এডিস মশার কামড়েই ছড়ায়?
ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ দিন দিন বাড়ছেই। বৃষ্টি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এডিস মশার বংশবিস্তার বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে কোনোভাবেই নিস্তার মিলছে না ডেঙ্গু কিংবা এই রোগবাহী মশা থেকে। তবে একটু সর্তক থাকলে ডেঙ্গু থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
এ বিষয়ে সম্প্রতি একুশের টেলিভিশনের রাতের টকশো ‘একুশের রাত’ অনুষ্ঠানে আলোচনাকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) মেডিসিন বিভাগের ডিন বিশিষ্ট চিকিৎসক অধ্যাপক এবিএম আব্দুল্লাহ একথা বলেন। পাঠকের সুবিধার্ধে তার আলোচনার গুরুত্বপূর্ণ অংশ তুলে ধরা হলো।
ঈদের সময় লাখ লাখ মানুষ ঢাকা ছেড়ে গ্রামে যাবে। শুধু ঢাকা থেকে নয় অন্যান্য বিভাগীয় শহর থেকে মানুষ গ্রামে যাবে। এতে গ্রামের মানুষের ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কতটুকু। আমার পরামর্শ হলো যারা জ্বর জ্বর ভাব বা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত তাদের গ্রামের বাড়িতে না যাওয়ায় ভাল। কারণ ডেঙ্গু নিয়ে গ্রামে গেলে সঠিক চিকিৎসা নাও পেতে পারেন। সুতরাং এমন ব্যক্তির গ্রামের যাওয়া অনেকটা ঝুঁকিপূর্ণ।
তবে অন্য কোন জ্বরে আক্রান্ত হলে বাড়ি যেতে কোন সমস্যা নেই। তাদের থেকে ডেঙ্গু ছড়ানোর ঝুঁকি নেই বললেই চলে। কারণ ডেঙ্গু হয় এডিস মশা কামড় দিলে। এটি কোনো ছোঁয়াচে রোগ নয়। আর এডিস মশাকে বলা হয় ভদ্র মশা। এটাকে অনেকেই এলিট মশাও বলে। এই মশার বাস শহরে সুন্দর সুন্দর বাড়িতে। যেকারণে আমি বলতে পারি অযথা আতঙ্ক হবার কিছু নেই। অতিমাত্রায় দুশ্চিন্তা করারও কারণ নেই। তবে যারা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত তাদের ঢাকাতে থাকায় উত্তম।
ডেঙ্গু কোনো ছোঁয়াচে রোগ না। আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে ঘুমালে, একই থালায় খাবার খেলে, আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহারি পোষাক পরিধান করলেও ডেঙ্গু হবে না। এই রোগ ছাড়ায় শুধুমাত্র মশার মাধ্যমে।
বর্ষার সময় এই রোগ বেশি দেখা যায়, এবার বর্ষা শুরু হয়েছে জানুয়ারি থেকে, যেকারণে মশার বংশ বিস্তার বেশি হয়েছে।
এডিস মশা জন্মের ৭ থেকে ৮ পর পর ডেঙ্গুর ভাইরাস ছাড়াতে থাকে। ১০ থেকে ২১ দিন পর্যন্ত জীবিত থাকে। তবে সব মশা মানুষের রক্ত খায় না। এডিস স্ত্রী মশা মানুষের রক্ত খায়। তবে সব সময় নয়, যখন স্ত্রী মশা গর্ভবতী হয়, তখন কামড় দেয়। মশার পেটের ভেতরে ডিম থেকে বাচ্চা ফুঠানোর জন্য মানুষের রক্ত প্রয়োজন হয়। এসময় এই মশাগুলো মানুষের রক্ত খাওয়ার জন্য পাগল হয়ে যায়। যেখানে মানুষ পায় সেখানে ছুটে যায়। তবে মানুষ ছাড়া অন্য কোন প্রাণীর রক্ত কিন্তু এই মশা খায় না।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন