ডেঙ্গু প্রতিরোধে এশিয়ায় সফলতার শীর্ষে বাংলাদেশ : স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

ডেঙ্গুসহ অন্যান্য মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে এশিয়ায় এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ সফলতার শীর্ষে রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) মন্ত্রণালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সারাদেশে ডেঙ্গুসহ অন্যান্য মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে ৩য় আন্তঃমন্ত্রণালয় ও ঢাকা শহরের চারপাশে পরিকল্পিত বাজার স্থাপনের লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতির বক্তব্যে মন্ত্রী একথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, এশিয়ার সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন ও ভারতসহ অন্যান্য দেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতির সর্বশেষ তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায় এসব দেশের তুলনায় বাংলাদেশে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা অনেক কম।
এবছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত সর্বশেষ তথ্য তুলে ধরে মোঃ তাজুল ইসলাম জানান, সিঙ্গাপুরে ১৩ হাজার, মালয়েশিয়ায় ১৮ হাজার ৮৮৪, ইন্দোনেশিয়ায় ৪৫ হাজার ৩৮৭, থাইল্যান্ডে পাঁচ হাজার ১৯৬, ফিলিপাইনে ৫১ হাজার ৬২২ এবং ভারতে ১০ হাজার ১৭২ জন মানুষ ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়েছে। আর বাংলাদেশে এ বছরের জানুয়ারি থেকে ২৬ শে জুলাই পর্যন্ত দুই হাজার ৩০৫ জন রোগী আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
তিনি বলেন, দুই সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে সবধরনের প্রোগ্রাম হাতে নিয়েছেন। মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দ, জনবল, অভিযান পরিচালনার জন্য ম্যাজিস্ট্রেটসহ যখন যা চেয়েছেন তখন তাই দেয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ, দপ্তর/সংস্থাও নিজ নিজ অর্পিত দায়িত্ব পালন করেছেন। মানুষকে সচেতন করার জন্য যা যা করণীয় তার সব করা হয়েছে। যার সুফল হিসেবে আমরা আজ একটি ইতিবাচক জায়গায় পৌঁছেছি।
ঢাকায় পরিকল্পিত বাজার স্থাপন সম্পর্কে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, সারাদেশে শাক-সবজি, মাছসহ অন্যান্য উৎপাদিত পণ্য ঢাকায় এনে যথাযথভাবে নগরবাসীর নিকট পৌঁছে দিতে ঢাকার চারপাশে পাইকারি বাজার স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। ঢাকা অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ হওয়ায় অপরিকল্পিতভাবে পাইকারি ও খুচরা বাজার প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় যানজটসহ নানা ধরনের সমস্যা তৈরি হচ্ছে। এজন্য কিভাবে সুবিধাজনক বা নির্দিষ্টস্থানে পাইকারি ও খুচরা বাজার বসানো যায়, সেজন্য ঢাকার দুই মেয়রসহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে আমরা আলোচনা শুরু করেছি।
সভায় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম, দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী, গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব শহীদ উল্লা খন্দকার, এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী সেখ মোহাম্মদ মহসিনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন



















