ঢাকার রাস্তায় ফিটনেসবিহীন গাড়ি, রুখবে কে?
রাজধানীর ৩৫৯টি রুটে বাস-মিনিবাস চলে সাড়ে ৭ হাজার। এর মধ্যে মাত্র সাড়ে চার হাজার বাসের ফিটনেস সনদ হালনাগাদ আছে। এগুলোর অধিকাংশই সনদ পাওয়ার অযোগ্য! তবু চলছে দেদার। যেন দেখার কেউ নেই!
এ হিসেবে রাজধানীর রাজপথ দাঁপিয়ে বেড়ানো বেশিরভাগ বাস-মিনিবাসই ফিটনেসবিহীন। পুলিশ ও বিআরটিএ কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করেই এসব বাস চলছে বলে জানিয়েছে চালকরা।
সব ধরণের যানবাহনের ফিটনেস সনদ দেয় বাংলাদেশ রোড টান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)। সংস্থাটির মিরপুর, দিয়াবাড়ি ও ইকুরিয়া সার্কেলে দিনে গড়ে অন্তত একশ বাস-মিনিবাসের ফিটনেস সনদ দেয়া হয়।
রোববার (১৫ এপ্রিল) মিরপুর বিআরটিএ অফিসে দিনভর অপেক্ষা করেও ফিটনেস সনদ নিতে আসা কোনও বাসের দেখা মেলেনি। তাহলে কিভাবে ফিটনেস সনদ পায় বাস মালিকরা। আর কিভাবেই লক্কর-ঝক্কর বাস চলছে রাজধানীর বুকে।
আবার শোনা যায়, চাঁদা ছাড়া চলে না বাসের চাকা। তাই ফিটনেস হালনাগাদের চেয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে চালাতেই বেশি আগ্রহী মালিকদের। এভাবে অবৈধ পথেই চলছে লক্কর-ঝক্কড় গাড়ি!
বিআরটিএর আইন অনুযায়ী, ফিটনেস সনদ পেতে হলে সংশ্লিষ্ট বাস-মিনিবাস নিয়ে যেতে হয় বিআরটিএ অফিসে। সেখানে দায়িত্বরত কর্মকর্তা বাসের ইঞ্জিন ও চ্যাসিস নম্বরের পাশাপাশি ব্লু বুক অনুযায়ী বাসের দৈর্ঘ-প্রস্থ, লাইট, ব্রেক, রং, বডি ও আসন সংখ্যা ঠিক আছে কিনা তা যাচাই-বাছাই করে থাকেন।
সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে দেয়া হয় ফিটনেস সনদ। অথচ রাজধানীতে চলাচলকারী বেশির ভাগ বাসেরই ফিটনেস সনদ পাওয়ার কোনও যোগ্যতাই নেই! আর তাই অবৈধ উপায়ে সনদ জোগাড় করে দিব্যি গাড়ি চালাচ্ছেন মালিক-চালকরা।
২০০০ সাল থেকে রাজধানীতে নির্ধারিত রুটের জন্য বাস-মিনিবাসের পারমিট দিচ্ছে বিআরটিএ। এখন পর্যন্ত ৩৫৯টি রুটের বিপরীতে প্রায় ৫ হাজার ২৪৭টি বাস ও ২ হাজার ৩৫২টি মিনিবাসের পারমিট দেয়া হয়েছে। নিয়ম মানলে এর বেশির ভাগ বাস-মিনিবাসই রাস্তায় চলাচল করতে পারবে না।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন