ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কে আজও চলছে না বাস

নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে ময়মনসিংহ থেকে ঢাকার পথে বাস চলাচল দ্বিতীয় দিনের মতো বন্ধ রেখেছে মালিক সমিতি। বৃহস্পতিবারের মতো শুক্রবারও ওই রুটে বাস চলাচল করছে না। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।

বাস মালিকরা জানান, রাস্তায় বের হলেই শিক্ষার্থীরা ইচ্ছামত বাস ভাঙচুর করছে। এতে লাখ লাখ টাকা ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে মালিকদের। তাই নিরাপত্তার অভাবে গতকালে মতো শুক্রবারেও সকাল থেকে ঢাকামুখী বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি ভালো হলে তারা বাস চলাচল শুরু করবেন বলে জানা গেছে।

গত রবিবার রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন স্কুল ও কলেজের দুই শিক্ষার্থীর নিহতের ঘটনায় গত চার দিন ধরে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে শিক্ষার্থীরা।

দুর্ঘটনার জন্য দায়ী চালকদের ফাঁসি, ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচল এবং লাইসেন্স ছাড়া চালকদের গাড়ি চালনা বন্ধ করাসহ বিভিন্ন দাবিতে বৃহস্পতিবারও সারা দিন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে দেশের বেশ কয়েকটি জেলাতেও।

ঢাকায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা গাড়ি থামিয়ে থামিয়ে চালকদের লাইসেন্স পরীক্ষা করে। এমন পরিস্থিতিতে সচিবালয়ে পরিবহন মালিক ও শ্রমিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। পরে তিনি সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানান। পরে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে বৃহস্পতিবার দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এমন সিদ্ধান্তের পরও গতকাল রাজধানীতে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। তাদের সঙ্গে আন্দোলনে যোগ দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থীও।

রাস্তায় শিক্ষার্থীরা বাস ভাঙচুর করায় গতকাল সকাল থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কে বাস চলাচল বন্ধ করে দেয় জেলা বাস মালিক সমিতি, যা আজ অবধি চলছে।

বাস বন্ধের কারণে দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা। অনেককে বাস টার্মিনালে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে থাকার পর বাস না পেয়ে বাড়ি ফিরেছেন। কেউ কেউ বিকল্প পথে গন্তব্যে রওনা দিয়েছেন। কাউকে আবার বাস ছাড়ার আশায় অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।

জেলা পরিবহন মোটর মালিক সমিতির বাস বিভাগের সম্পাদক বিকাশ সরকার জানান, শুক্রবার সকাল থেকে ঢাকার দিকে কোনো বাস ছাড়েননি তারা।

তিনি বলেন, রাস্তায় বের হলেই শিক্ষার্থীরা ইচ্ছামত বাস ভাঙচুর করছে। এতে লাখ লাখ টাকা ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে মালিকদের। তাই নিরাপত্তার অভাবে গতকালে মতো শুক্রবারেও সকাল থেকে ঢাকামুখী বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।