ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
ঐক্য ও অগ্রগতির ২৭ বছর পালন করলো সাংবাদিকদের সংগঠন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)। নিজেদের গৌরবগাঁথায় চির জাগরূক থেকে সংগঠনটি উদযাপন করলো প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী।
বৃহস্পতিবার (২৬ মে) সকাল থেকেই বিভিন্ন আয়োজনে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন শুরু হয়।
দুপুরে সেগুন বাগিচার ডিআরইউ কার্যালয়ের সামনে পতাকা উত্তোলনসহ বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে আয়োজনের উদ্বোধন করেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
এসময় ডিআরইউয়ের সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম হাসিবসহ অন্যান্য প্রায় সকল সংগঠক ও সদস্য, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন এবং সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, বিজিএমইএ’র সভাপতি ফারুক হাসানসহ অন্যান্য বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন।
আয়োজনের উদ্বোধন করে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, এক এক করে ২৭ বছর কেটে গেছে।
এই পথ পরিক্রমায় ঐক্যবদ্ধ থেকেছে। রাজনীতি থেকে দূরে থেকেছে।
রাজনৈতিকভাবে বিভক্ত হয়নি। আমি মনে করি, এটি অত্যন্ত বড় একটি সাফল্য আপনাদের জন্য। সাংবাদিকদের অনেকগুলো সংগঠন আছে এবং অনেকগুলো নানা কারণে বিভক্ত হয়ে গেছে। কিন্তু ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি বিভক্ত হয়নি। আশা করি আগামী ৫০ বছর পরও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি ঐক্যবদ্ধ থাকবে। আর এই সংগঠনটি যেভাবে বিভিন্ন সেমিনার-সিম্পোজিয়াম, অ্যাওয়ার্ডের আয়োজনে করে সাংবাদিকদের জন্য তা সাংবাদিকতার চর্চাকে আরও উন্নত করে।
ডিআরইউয়ের সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু বলেন, আমরা গত ২৭ বছর ধরে ঐক্যবদ্ধভাবে পথ চলেছি। আমরা শত শত বছর ঐক্যবদ্ধভাবে পথ চলতে চাই। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, ততদিন দেশের অভিযাত্রায়, গণতন্ত্রের অভিযাত্রায়, মানবিকতার অভিযাত্রায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি সবসময় ভাস্বর হয়ে থাকবে।
উদ্বোধনী আয়োজন শেষে বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়। এটি শহরের বিভিন্ন প্রদক্ষিণ করে ডিআরইউ কার্যালয়ে ফিরে আসে। পরে সংগঠনের নবীন-প্রবীণ সদস্যরা মিলে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটেন।
এছাড়া প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ডিআরইউ সদস্যদের জন্য একটি ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প এবং ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা ডিআরইউ সদস্য সংবর্ধনা’র আয়োজন করা হয়েছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন