তত্ত্বাবধায়ক গোরস্থানে, শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচন
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার গোরস্থানে চলে গেছে। শেখ হাসিনার অধীনেই পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
বুধবার বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে ১৭ কোটি ৫৪ লাখ ৭৪ হাজার টাকা ব্যয়ে পাঁচ একর জায়গার উপর নবনির্মিত ৫০ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স উদ্বোধন শেষে আয়োজিত জনসভায় এ মন্তব্য করেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে সময় মতোই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বেগম খালেদা জিয়া শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচন করতে বাধ্য হবেন। যদি নির্বাচন না করেন তাহলে বিএনপিকে বাটি চালান দিয়ে খুঁজে পাওয়া যাবে না। আর সেই নির্বাচনে ১৪ দল আবারো সুষ্ঠু ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসবে।
সহায়ক সরকার নিয়ে তিনি বলেন, সহায়ক সরকার বলতে পৃথিবীতে কোনো কিছু নাই। আগামী নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান সরকারের অধিনেই অনুষ্ঠিত হবে।
পদ্মা সেতু নিয়ে মন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া বলেছেন পদ্মা সেতুতে নাকি উঠা যাবে না। পদ্মা সেতুর কাজ শুরু নয়, শেষও হবে শেখ হাসিনার অধিনেই। খালেদা জিয়া ক্ষমতায় আসলে পদ্মা সেতুর কাজ বন্ধ করে দেবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
এ সময় রশিকতা করে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এ সদস্য বলেন, খালেদা জিয়ার জন্য পদ্মা সেতুতে টোল ফ্রি করে দেয়া হবে। বিএনপি ক্ষমতায় আসলে দেশের সার্বিক উন্নয়ন কাজ বন্ধ হয়ে যাবে। তাই খুব বুঝে শুনে ভোট দিতে হবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জনের সভাপতিত্বে সভায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনের সংসদ সদস্য র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (আশুগঞ্জ-সরাইল) আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা, সিবিএইচসির লাইন ডিরেক্টর আবুল হাপসেম খান, স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী বিগ্রেডিয়ার জেনারেল এমএ মোহী, চট্টগ্রাম বিভাগের স্বাস্থ্য পরিচালক মো. মজিবুল হক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক রেজওয়ানুর রহমান, পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার, জেলা স্বাচিপ এর সভাপতি ডা. আবু সাঈদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঈন উদ্দিন মঈন প্রমুখ।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণের জন্য উপজেলা পরিষদের পাশের পাঁচ একর জমি অধিগ্রহণ শেষে ২০১৪ সালে ৯ নভেম্বর ৫০ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ১৭ কোটি ৫৪ লাখ ৭৪ হাজার টাকা ব্যয়ে এই নির্মাণ কাজ শেষ করে ২০১৬ সালের নভেম্বর মাসে স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন