তাইওয়ানকে সব ধরনের সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র: বিবিসি
যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানকে সব ধরনের সহায়তা দিয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থি। তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টে সাই ইং-ওয়েনের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। এসময় তাইওয়ানের স্বাধীনতা ঠেকাতে চীন শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাবে বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। খবর : বিবিসির।
ক্যালিফোর্নিয়ার রোনাল্ড রিগ্যান প্রেসিডেন্সিয়াল লাইব্রেরিতে স্থানীয় সময় বুধবার এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন বলেন, তার দেশের গণতন্ত্র হুমকির মুখে। তিনি তাইওয়ানের প্রতি যুক্তরাষ্টের অব্যাহত সমর্থন চান। তিন দশকের বেশি সময় পর প্রথম কোনো শীর্ষস্থানীয় মার্কিন কর্মকর্তা যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করলেন। এই বৈঠকে ম্যাকার্থি তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টকে ‘আমেরিকার অন্যতম বন্ধু’ আখ্যা দেন। অর্থনৈতিক স্বাধীনতা ও শান্তি বজায় রাখতে দুই দেশের একসঙ্গে কাজ করার ওপর জোর দেন তিনি। দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে ঐক্য দরকার- উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে সাই ইং ওয়েন বলেন, যখন আমরা একসঙ্গে থাকি তখন আরও শক্তিশালী হই। তাইওয়ানের সঙ্গে ‘শান্তিপূর্ণ পুনর্মিলনের’ অঙ্গীকার চীনা প্রেসিডেন্টের।
এদিকে সাই ইং ওয়েন-এর এই বৈঠকে ক্ষুব্ধ চীন। গুয়াতেমালা ও বেলিজ সফরকালে তার নিউইয়র্ক ও ক্যালিফোর্নিয়া হয়ে ট্রানজিট নেওয়ার খবরে আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিল চীন। এই ট্রানজিট পরিকল্পিত ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ইঙ্গিত করে- সফর শুরুর আগেই চীন এ হুঁশিয়ারি দেয়। বেইজিংয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, তারা সাই ও ম্যাকার্থির মধ্যে যেকোনো বৈঠকের ‘পুরোপুরি বিরোধী’।
এ বৈঠক ‘প্রতিহত করতে দৃঢ় পদক্ষেপ’ নেওয়া হবে। মার্কিন হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভের স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থি তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েনের সঙ্গে দেখা করলে চীন ‘দৃঢ়ভাবে লড়াই করার’ হুমকিও দেয়।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন