তামাক পণ্যের প্রদর্শনী ও খুচরা বিক্রি বন্ধ চায় দোকান কর্মচারী ফেডারেশন
বর্তমান ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০০৫’ এ তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন প্রচার পুরোপুরি নিষেধ। তবে বিদ্যমান আইনে বিক্রয়কেন্দ্রে তামাকজাত পণ্যের প্রদর্শনী বন্ধে সুনির্দিষ্ট কোন নিষেধাজ্ঞা নেই। আর এ সুযোগে তামাক কোম্পানীগুলো বিক্রয়কেন্দ্রে তাদের পণ্যের প্রদর্শনীর মাধ্যমে প্রকারন্তরে পণ্যের বিজ্ঞাপন করছে। উপরন্তু বিদ্যমান আইনে তামাক পণ্যের খুচরা বিক্রিও নিষিদ্ধ নয়। এজন্য কিশোর-যুবক ও নিম্ন আয়ের মানুষেরা সহজেই তামাকজাত পণ্য খুচরা কিনতে পারছেন। আর এজন্য বর্তমান আইনের সংশোধন চান জাতীয় দোকান কর্মচারী ফেডারেশন (এনএসইএফ)।
১৪ ফেব্রুয়ারি বিকেলে রাজধানীর তোপখানা রোডে অবস্থিত জাতীয় দোকান কর্মচারী ফেডারেশনের কার্যালয়ে সাথে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের এক যৌথ মতবিনিময় সভায় বক্তারা এ দাবি জানান। জাতীয় দোকান কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি মো. রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সহ-সভাপতি কামরুল হাসান, সহ-সভাপতি (ঢাকা মহানগর) মো. দিদার হোসেন, দপ্তর সম্পাদক এম এ গনি, ক্যাম্পেইন ফর টোবাকো ফ্রি কিডস বাংলাদেশের গ্র্যান্টস ম্যানেজার আবদুস সালাম মিয়া প্রমুখ। সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের প্রকল্প সমন্বয়কারী মোঃ শরিফুল ইসলাম।
ক্যাম্পেইন ফর টোবাকো ফ্রি কিডস বাংলাদেশের গ্র্যান্টস ম্যানেজার আবদুস সালাম মিয়া বলেন, তামাকজাত পণ্যের ব্যবহারে কেবল নিজেরই স্বাস্থ্যগত ক্ষতি হয় না, বরং পরিবার সহ আশেপাশে মানুষজনও পরোক্ষ ক্ষতির শিকার হন। এর পাশাপাশি আর্থিক ক্ষতির দিকটি তো রয়েছেই। জাতীয় দোকান কর্মচারী ফেডারেশনের কাছে অনুরোধ, তারা তাদের সদস্যদেরকে তামাকের ক্ষতির দিকগুলো সম্পর্কে সজাগ করবেন ও আইনী সংশোধনের মাধ্যমে বিক্রয়কেন্দ্রে তামাকজাত পণ্য প্রদর্শন ও খুচরা বিক্রয় বন্ধ করার দাবির বিষয়ে সমর্থন জানাবেন।
জাতীয় দোকান কর্মচারী ফেডারেশনের দপ্তর সম্পাদক এম এ গনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে আইনী সংশোধনের মাধ্যমে বিক্রয়কেন্দ্রে তামাকজাত পণ্য প্রদর্শন ও খুচরা বিক্রয় বন্ধ করার সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি।
জাতীয় দোকান কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, দেশে সরকারী হিসেবে প্রায় ২ কোটির উপরে দোকান কর্মচারী কর্মরত রয়েছেন। ফলে তামাক ও তামাকজাত পণ্যের কারণে এই সমস্ত কর্মচারীরাও স্বাস্থ্যগত ঝুঁকির বিষয়টি এড়াতে পারেন না। উপরন্তু বিক্রয়কেন্দ্রে তামাকজাত পণ্যের প্রদর্শন ও সিঙ্গেল স্টিক সিগারেট বা বিড়ির বিক্রি বন্ধ করা গেলে তামাকের ব্যবহার অনেকাংশেই কমে যাবে বলে আমি বিশ্বাস করি। আর এজন্য আইনের প্রয়োজনীয় সংশোধন করারও জোর দাবি জানাচ্ছি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন