তেঁতুলিয়ায় নতুন ভূমি জরিপে আরএস নকশায় ব্যাপক গড়মিলের অভিযোগ

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার সর্দারপাড়া মৌজার নতুন ভূমি জরিপ রিভিশনাল সার্ভে (আরএস) নকশায় ব্যাপক গড়মিলের অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে ওই মৌজার অধিবাসীরা গণস্বাক্ষরের মাধ্যমে দিনাজপুর জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। গত মাসের ১৩ তারিখ বৃহস্পতিবার সকালে এই অভিযোগ করা হয়। এরপর গত ওই মাসেরই ১৭ তারিখ সোমবার তেঁতুলিয়া চৌরাস্তা বাজারের ঐতিহাসিক তেঁতুল তলায় পি-৭০ নকশা বাতিল করে ব্লু প্রিন্ট নকশার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২০০৮ সালে তেঁতুলিয়া উপজেলার বিভিন্ন মৌজায় নতুন করে আর.এস জরিপ কাজ শুরু হয়। এসব মৌজায় পূর্বের স্টেট একিউজিশন সার্ভে (এসএ) নকশার হুবহু রিভিশনাল সার্ভে (আরএস) ব্লুপ্রিন্ট নকশা তৈরী করা হয। এই সময় সর্দারপাড়া মৌজার দুটি নকশার মধ্যে ২ নং নকশাতেও ব্লুপ্রিন্ট অনুযায়ী নকশা প্রস্তুত করা হয়। একই সময়ে এই মৌজার ১নং নকশার কাজ সম্পুর্ণ শেষ না করেই নকশা কার্যক্রম হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়। ২০২০ সালে আবার এই নকশার আরএস কার্যক্রম শুরু হয়। কিন্তু ব্লু প্রিন্ট নকশা না করে পি-৭০ শিরোনামের নকশা প্রস্তুত করা হয়। এই নকশায় জমির দাগের গরমিল হয়ে যায়। এসএ নকশার সাথে কোন মিল না থাকায় নকশায় নিজস্ব জমি চিহ্নিত করতে পারছেনা ভূমি মালিকেরা। দুই তিনটি দাগ কেটে ১টি দাগের সৃষ্টি করা হয়েছে। কোথাও কোথাও একটি দাগ ভেঙ্গে দুটি দাগ সৃষ্টি করা হয়েছে। কোন কোন দাগের বাউন্ডারি গরমিল। বিভিন্ন দাগে ভূলভাবে সীমানা নির্ধারন ও চিহ্নিত করা হয়েছে। একটি দাগ ভেঙ্গে অন্য দাগের সঙ্গে মিলিয়ে ৮/১০ টি নতুন দাগের সৃষ্টি করা হয়েছে। ফলে ভূমির মালিকানা নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে তেঁতুলিয়া উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিসে এই মৌজার ৩০ ধারায় আপত্তি গ্রহন চলছে। আরএস নকশায় গড়মিল থাকায় এসময় একজন ভূমি মালিককে একটি দাগের বিপরীতে অন্তত: ৫/৬ টি আপত্তি (ডিসপুট) দাখিল করতে হচ্ছে। আপত্তি দাখিলের সরকারি ফি ৮০ থেকে ১০০ টাকা হলেও প্রতি আপত্তিতে নেয়া হচ্ছে ৫শ’ থেকে ৬শ’ টাকা।

তেঁতুলিয়া উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিসের সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার মোস্তাফিজার রহমান জানান, মানববন্ধনে অভিযোগের কথা শুনেছি। আমরা সরেজমিনে গিয়ে দাগগুলো মিলিয়ে দেখতেছি। আপাতত যে কয়েকদিন সরেজমিনে যাওয়া হয়েছে ধরুন ১০টি দাগের মধ্যে দু’একটি অমিল চোখে পড়েছে। অমিলের সংখ্যা বেশি দেখা গেলে নকশাটি পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তবে পরিবর্তন না করে সংশোধনই করা হবে।