তেল ও গ্যাস অনুসন্ধান: বাংলাদেশে থাকা চীনা জাহাজে ভারতের নজরদারি
বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোনে (ইইজেড) তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানকারী চীনের সার্ভে শিপ হাই ইয়াং শি ইউ ৭৬০-এর ওপর ঘনিষ্ঠভাবে নজরদারি করছে ভারতের নৌবাহিনী।
চীনের মালিকানাধীন সিসমিক সার্ভে শিপটি গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর রাতে মালাক্কা প্রণালি দিয়ে ভারত মহাসাগর অঞ্চলে প্রবেশ করে এবং জানুয়ারি থেকে বাংলাদেশের ইইজেড অঞ্চলে তেল ও গ্যাস অনুসন্ধান শুরু করে। ২০২৩ সালের মে মাসে এর অনুসন্ধান শেষ হবে।
বিভিন্ন সূত্র ভারতের অনলাইন উইওন নিউজকে জানিয়েছে যে, চীনের জাহাজটি ভারতীয় ইউজেডের মধ্যে কোনো ধরনের গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করছে এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে চীনের এ জাহাজের ওপর ভারতীয় নৌবাহিনী নিরবচ্ছিন্নভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।
গত আগস্টে, চীনের একটি জাহাজ ইউয়ান ওয়াং ৫ শ্রীলংকার হাম্বানটোটা বন্দরে নোঙর করার ঘটনায় নয়াদিল্লি বেশ বিরক্তি প্রকাশ করেছিল। শ্রীলংকা তখন থেকে এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয় তা নিশ্চিত করার জন্য একটি স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতিতে কাজ করছে। ভারত মহাসাগরে চীনের উপস্থিতি বাড়তে থাকায় ভারতীয় নৌবাহিনী তাদের নজরদারি কার্যক্রম জোরদার করেছে। চীনা জাহাজগুলোকে এই অঞ্চলে অবৈধভাবে না জানিয়ে অনিয়ন্ত্রিতভাবে মাছ ধরার সঙ্গে জড়িত অবস্থায় পাওয়া গেছে। চীনের একমাত্র বিদেশি নৌবাহিনীর ঘাঁটিটি জিবুতিতে অবস্থিত।
ভারত মহাসাগরে চীনের উপস্থিতি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি এখন এমন দাঁড়িয়েছে যে, ভারতীয় নৌবাহিনী সামুদ্রিক উপস্থিতি এবং নজরদারি উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়াবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গুরুগ্রামে অবস্থিত ভারতীয় নৌবাহিনীর ইনফরমেশন ফিউশন সেন্টার-ভারত মহাসাগর অঞ্চল (আইএফসি-আইওআর) ভারত মহাসাগরের গতিবিধির ওপর নজর রাখে এবং যে কোনো সংকটের ক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে তথ্য সংগ্রহ করে থাকে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন