‘দশদিনের মধ্যেই বোঝা যাবে কী অবস্থানে আছে দলগুলো’

২৩ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণের তারিখ ঘোষণার পর রাজনৈতিক দলগুলো নানা প্রতিক্রিয়া জানালেও বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আগামী দশদিনের মধ্যে পরিস্কার হয়ে যাবে নির্বাচনী মাঠে দলগুলোর অবস্থান। নির্বাচনে অংশ নেয়ার ক্ষেত্রে বেগম জিয়ার মুক্তি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মূল দাবি হলেও এবার নির্বাচনে না যাওয়ার ঝুঁকি বিএনপি নেবে না বলে মনে করেন তারা।

নির্বাচনের তারিখ হয়ে যাওয়ার পর ক্ষমতাসীন জোট ও বিরোধী জোটের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া বিপরীতমুখী হলেও এটিকেই শেষ কথা বলতে নারাজ বিশেষজ্ঞরা। তারা মনে করছেন, নির্বাচনের দিন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে পাল্টে যাবে দৃশ্যপট। বিশেষ করে তফসিল অনুযায়ী মনোনয়ন পত্র জমা দেয়া ও প্রত্যাহারের দিন কেন্দ্র করে সব দলের নির্বাচনী গতিপথ বোঝা যাবে। তবে এক্ষেত্রে সরকারকেই মূল ভূমিকা রাখতে হবে।

স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, বিএনপির বিরুদ্ধে সরকারের নানা রকম অভিযোগ থাকতে পারে। কিন্তু সমতল ক্রীড়া ভূমি না তৈরি করলে নির্বাচনের পরিবেশ বিঘ্নিত হবে। তাই গায়েবি মামলা থেকে এখন একটু বিরত থাকা উচিত।’

তোফায়েল আহমেদ বলেন, এভাবে করে কিছুদিন চলতে পারে, পারে পরিস্থিতি অন্যরকম হতে পারে। এক সপ্তাহ গেলেই বুঝবেন এটা কোনদিকে যাচ্ছে।’

নির্বাচনে অংশ নেবার ক্ষেত্রে বেগম জিয়ার মুক্তি ঐক্যফ্রন্টের মূল দাবি হলেও এবার নির্বাচনে না যাওয়ার ঝুঁকি বিএনপি নেবে না বলে মনে করেন তারা। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে বিএনপির নেতাকর্মীদের মামলার বিষয়গুলো দ্রুত সুরাহা করার পরামর্শ দেন তারা।

তোফায়েল আরো বলেন, ‘সরকারও চায় ১৪ সনের নির্বাচন আবার না হয়। সরকার চায় ঐক্যফ্রন্ট, বিএনপিতে আসুক।’

স্বল্প পরিসরে ইভিএম ব্যবহারের বিষয়ে ভিন্ন ভিন্ন মত ব্যক্ত করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে নির্বাচনে সেনাবাহিনী কতটুকু ক্ষমতা প্রয়োগ করবে সে বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্য পরিষ্কার নয় বলে মত তাদের।

সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা দেবার জন্য সেনাবাহিনী থাকবে, তাহলে কী সেনাবাহিনী ঢালাও মোতায়েন করা হবে? সীমিত আকার শহরে ইভিএম ব্যবহার করা হবে, এটাকে আমি যুক্তি সঙ্গত মনে করছি।’

তফসিল ঘোষণার মধ্য দিয়ে সংলাপের পথ অঘোষিতভাবে বন্ধ হয়েছে। তবে একটি সুষ্ঠু সুন্দর নির্বাচন জনগণ প্রত্যাশা করছে বলেও মত বিশ্লেষকদের।