দায়িত্ব পেয়েই খাল উদ্ধারে দক্ষিণ সিটি
৩২ বছর পর ওয়াসার কাছ থেকে দায়িত্ব পেয়ে ঢাকার খাল উদ্ধারে মাঠে নেমেছে দক্ষিণ সিটি। প্রথম দিন ঢাকার অন্যতম বড় পান্থপথ বক্স কালভার্টের তিনটি মুখের বর্জ্য অপসারণ করা হয়। মুখগুলো পরিষ্কার করেও যদি পানি প্রবাহ নিশ্চিত না হয়, তাহলে হাইড্রোলিক মেশিনসহ আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে বক্স কালভার্টের ভেতরের ময়লা অপসারণ করা হবে বলে জানিয়েছে দক্ষিণ সিটি।
বর্ষার আগেই প্রধান তিনটি খাল ও ড্রেন পরিষ্কার করে জলাবদ্ধতা থেকে নগরবাসীকে মুক্তি দেয়ার কথাও জানান তারা।
দেখে মনে হবে ময়লার ভাগাড় থেকে কঠিন বর্জ্য উত্তোলন করা হচ্ছে। যেখানে রয়েছে গৃহস্থালি, ব্যবসায়িক কিংবা শিল্প কলকারখানার সব ধরণের বর্জ্য। তবে ভাগাড় নয়, এ হলো রাজধানীর ভেতর দিয়ে বয়ে চলা প্রায় ২২শ’ কিলোমিটার কালভার্ট ও ড্রেনের ভেতরে জমে থাকা ময়লা। যা এক সময় ছিল প্রবাহমান খাল।
শনিবার (০২ জানুয়ারি) সকাল থেকে তা পরিষ্কারে মাঠে নামে দক্ষিণ সিটি।
সংস্থাটি জানায়, কারওয়ান বাজার থেকে পান্থপথ হয়ে রাসেল স্কয়ার পর্যন্ত বিস্তৃত কালভার্টটির প্রথমে ২৪টি মুখ পরিষ্কার করা হবে। যা করতে সময় লাগতে পারে সপ্তাহ-খানেক। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য কালভার্ট ও ড্রেনের পাশাপাশি উদ্ধার করা হবে জিরানি, মান্ডা ও শ্যামপুর খাল।
এ প্রসঙ্গে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মো. বদরুল আমিন বলেন, শুধু মুখের অংশগুলো পরিষ্কার করলে হবে না। আমাদেরকে এর ভেতরে লোক প্রবেশ করাতে হবে। বিভিন্ন যন্ত্র ও ক্রেন প্রবেশ করিয়ে প্রেশার দিয়ে পানি দিতে হবে। কালভার্টের ভেতরের কানেকশনগুলো সব বন্ধ হয়ে গেছে।
সংস্থাটি জানায়, তিন মাসের ক্র্যাশ প্রোগ্রাম সফল হলে আগামী বর্ষায় ঢাকায় আর জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে না।
আশির দশকে প্রবাহমান খালের ওপর এই কালভার্টগুলো করা হয়েছিল বলে জানায় দক্ষিণ সিটি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন