দুই-একদিনের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন : কাদের
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের অর্জন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘উই আর হাপিং ফর দ্যা বেস্ট, অ্যাণ্ড প্রিপায়েরিং ফর দ্যা ওরস্ট।’ আমরা ভালোর জন্য আশা করে আছি, যেকোনো মন্দ মোকাবেলায় প্রস্তুত আছি।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর এক সভা শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
সংলাপ আয়োজনের মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে অসাধারণ কাজ করেছেন তা বাংলাদেশের ইতিহাসে নতুন মাইলফলক হয়ে থাকবে বলে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে কোনো সরকার প্রধান আগে এটা করেননি। এটাই প্রথম। সেদিক দিয়ে আমাদের নেত্রী দেশের সর্ব মহলের প্রশংসা যেমন পেয়েছেন তেমনি দেশের বাইরেও প্রশংসিত হয়েছেন। আমরা তাকে অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানাই।
সংলাপ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন স্থগিত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আজ (বৃহস্পতিবার) যেহেতু তফসিল ঘোষণা হচ্ছে তাই দুই একদিন পর প্রধানমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলন করবেন। প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনের সময় পরবর্তীতে জানিয়ে দেয়া হবে।
ঐক্যফ্রন্টের রোডমার্চ এবং প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন স্থগিতের কোনো যোগসূত্র আছে কী-না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এর সঙ্গে অন্য কিছুর যোগসূত্র নেই।
নির্বাচনকালীন সরকার প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনকালীন সরকার কবে হবে, কেমন হবে; এটা প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার। তবে আমি এটুকু বলতে পারি টেকনোক্রেট কেউ থাকবে না। বড় ছোট করা প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার।
নির্বাচনকালীন সরকারে জাতীয় পার্টি বা শরীক দলের নতুন কাউকে যুক্ত করা হবে কী না জানতে চাইলে তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি তো আছেই। হাসপাতাল থেকে খালেদা জিয়াকে কারাগারে নেওয়া প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বেগম জিয়া হাসপাতালে থাকলেও তিনি প্রিজনার। তিনি জেলে থাকলে যা, চিকিৎসার জন্য বাইরে থাকলেও একই স্ট্যাটাস।
ওবায়দুল কাদের বলেন, গণসংযোগ অভিযান সারা বাংলাদেশে অব্যহত থাকবে এবং শিডিউল ঘোষণার পর তা আরও জোরদার হবে।
দলের নেতাকর্মীদের নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলার নির্দেশ দিয়ে তিনি আরও বলেন, শিডিউল ঘোষণার পর আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা আচরণবিধি মেনে চলবে। মন্ত্রী, সংসদ সদস্যসহ সবাইকে নির্বাচন কমিশনের আচরণবিধি মেনে চলার নির্দেশ দিচ্ছি।
এর আগে বিকাল সাড়ে ৪টায় দলের সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠক শুরু হয়। প্রায় ঘণ্টাব্যাপি এই বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন মাহবুবউল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, আহমদ হোসেন, বি এম মোজাম্মেল হক, মেজবাহ উদ্দিন সিরাজ, একেএম এনামুল হক শামীম, আবদুস সোবহান গোলাপ, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, প্রকৌশলী আব্দুর সবুর, ফরিদুন্নাহার লাইলী, দেলোয়ার হোসেন, কেন্দ্রীয় সদস্য মারুফা আক্তার পপি, এসএম কামাল হোসেন, রিয়াজুল কবির কাওসার প্রমুখ।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন