দুই ঘন্টার মধ্যে ঠাকুরগাঁওয়ে এক আদিবাসী হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচন
ঠাকুরগাঁওয়ে শহরের কলেজপাড়ার শ্যালোমেশিন মেকার আদিবাসী স্টিফান তিরকির হত্যাকান্ডের ২ ঘন্টার মধ্যেই পুলিশ হত্যার রহস্য উন্মোচন ও হত্যাকারিকে গ্রেফতার করে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রোববার (২০ আগস্ট) দুপুরে ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার উত্তম প্রসাদ পাঠক সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
পুলিশ সুপার জানান, গত ১৮ আগস্ট রাত সাড়ে ১০টার দিকে জানা যায়, স্টিফান তিরকি ছুরিকাঘাতে গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎস জানান গুরুতর জখমপ্রাপ্ত হওয়ায় ওই ব্যক্তির শরীর থেকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে হাসপাতালে নেওয়ার সময় মৃত্যুবরণ করেন। পরে পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় পুলিশের ৪টি টিম হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনসহ প্রকৃত অপরাধীকে সনাক্তের জন্য কাজ শুরু করেন। প্রাথমিক তদন্তে উঠে আসে স্টিফান তিরকির সাথে পার্শ্ববর্তী গাব্রীয়েল ওরফে গাবে টপ্পো ও জুলিয়ান টপ্পোর সাথে জমি দখলের চুক্তির টাকা নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ চলছিল। ঘটনার দিন ১৮ আগস্ট রাত ৯ টার দিকে শহরের রবির ড্রাইভারের বাড়ির সামেন রাস্তায় স্টিফান তিরকির সাথে গাব্রীয়েলের কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে পূর্ব শত্রুতার জেরে স্টিফান তিরকির কাছে থাকা স্ক্রু ড্রাইভার গাব্রীয়েল কেড়ে নিয়ে সজোরে স্টিফান তিরকির বুকে আঘাত করে। আঘাত প্রাপ্ত স্টিফান তিরকিকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখে ঘাতক গাব্রীয়েল স্ক্রু ড্রাইভারটি ঘটনাস্থলের পাশে ময়লার ড্রেনে ফেলে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন রক্তাক্ত অবস্থায় স্টিফান তিরকিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। পরে অভিযান চালিয়ে ঘাতক গাব্রীয়েল ও জুলিয়ান টপ্পোকে আটক করলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গাব্রীয়েল ওরফে গাবে টপ্পো হত্যাকান্ডের সাথে সরাসরি জড়িত বলে স্বীকার করেন বলে জানান পুলিশ সুপার।
রোববার গ্রেফতারকৃত দুই জনকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করলে জেলা অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রমেশ কুমার ডাগা আসামীদের কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন