দুদিন বাড়ার পর সিলেটে বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে
দুদিন বাড়ার পর শুক্রবার (১ জুলাই) সকাল থেকে সিলেটের পাঁচটি নদ-নদীর মধ্যে চারটির আট পয়েন্টেই কমতে শুরু করেছে বন্যার পানি। সিলেট জেলার ১৩টি উপজেলার মধ্যে ১২টি উপজেলায় বন্যার পানি নামতে শুরু করেছে। মহানগর এলাকা থেকেও পানি নামছে।
তবে ধলাই নদে পানি সামান্য বেড়েছে। এ কারণে সিলেটের ভারতের চেরাপুঞ্জি সীমান্তঘেঁষা উপজেলা কোম্পানীগঞ্জে পানি সামান্য বেড়েছে। আজ থেমে থেমে কয়েক দফা হালকা বৃষ্টি হলেও সিলেটে সার্বিকভাবে পানি বাড়েনি।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেট কার্যালয় থেকে পাঠানো বন্যার পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো মেইল বার্তা বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) সন্ধ্যা ৬টা থেকে শুক্রবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত সিলেটের পাঁচটি প্রধানতম নদ-নদীর মধ্যে সুরমা, কুশিয়ারা, সারী ও লোভাছড়ায় আটটি পয়েন্টের সবকটিতেই পানি কমেছে। তবে ধলাই নদের পানি দশমিক ৩ সেন্টিমিটার বেড়েছে সর্বশেষ ২১ ঘণ্টায়।
সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে দশমিক ১১ সেন্টিমিটার ও সিলেট সদর পয়েন্টে দশমিক ৫ সেন্টিমিটার কমেছে। কুশিয়ারা নদীর জকিগঞ্জের অমলসীদ পয়েন্টে দশমিক ৮ সেন্টিমিটার, এ নদীর শেওলা পয়েন্টে দশমিক সেন্টিমিটার, ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে দশমিক ১ সেন্টিমিটার ও শেরপুর পয়েন্টে দশমিক সেন্টিমিটার পানি কমেছে।
এছাড়া ধলাই নদের সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের ইসলামপুর পয়েন্টে দশমিক ৩ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে। তবে এ নদীর পানি এখন বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে, সিলেটে শুক্রবারও থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। এরমধ্যে কানাইঘাটে ১৫ মিলিমিটার, সিলেট সদরে ১০ মিলিমিটার, শেওলায় আট ও শেরপুরে ছয় মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী আসিফ আহমদ জানান, সামান্য বৃষ্টি হলেও এতে পানি বাড়ার শঙ্কা নেই। শুক্রবার সকাল থেকে নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল থেকে পানিও নেমেছে কিছুটা। আশা করছি কিছুটা ধীরে হলেও বন্যার পানি কমা অব্যাহত থাকবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন