দৈনিক প্রথম আলো
দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব নিয়ে পূর্বপরিকল্পিতভাবেই এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে!
একটি প্রতিষ্ঠান মাত্র ১০টাকা দিয়ে একটি প্রথম শ্রেণিতে পড়ুয়া শিশুর ছবি তুলে তার ভাষ্য দিয়ে এবং তার নাম, পরিচয় ভুয়া ছাপিয়ে একটি গর্হিত অপরাধ করেছে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞ মহল। বিজ্ঞ মহল মনে করছে, এই ঘটনাটি শিশু শোষণ বা চাইল্ড একপ্লোয়টেশন (child exploitation) আইনের আওতায় পড়ে। তেমনি একটি দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব নিয়ে একটি শিশুকে দিয়ে পরিকল্পিতভাবে বিতর্কিত কথা বলানো রাষ্ট্রদ্রোহিতার আইনেও পড়ে। ঠিক তেমনী একটি সংবাদ পরিবেশিত হয়েছে দেশের বহুল প্রচারিত দৈনিক প্রথম আলোতে।
এদিকে বিজ্ঞ মহল বলছেন, ১০ টাকা দিয়ে কি পাওয়া যায়? একটি আইসক্রিম, একটি চকলেট। একটি শিশু সাধারণত ১০ টাকা দিয়ে একটি আইসক্রিম বা চকলেট কিনে খেয়ে থাকে। জীবনের বাস্তবতাগুলো স্বাভাবিক পক্ষেই তার অজানা বিষয়। আর দেশের প্রচলিত আইন, এ সম্পর্কে তার নিতান্তই কোনো ধারনা থাকার কথা নয়। কিন্তু প্রথম আলো পত্রিকার সম্পাদকীয় প্যানেল জেনে-শুনে এমন গর্হিত অপরাধ করতে পারে না। তবে প্রথম আলো ইচ্ছাকৃত এবং পূর্বপরিকল্পিতভাবেই এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে।
বিজ্ঞ মহল আরোও বলছেন, একটি ছোট্ট শিশুকে মাত্র ১০ টাকা হাতে তুলে দিয়ে সম্পূর্ণ একটি মিথ্যা গল্প সাজিয়ে আরেকটা বাসন্তী গল্প বানানোর চেষ্টা করেছিল প্রথম আলো। কিন্তু সচেতন মানুষদের প্রতিবাদ-প্রতিরোধের মুখে সেই মিথ্যাটি আর প্রতিষ্ঠিত করতে পারেনি প্রথম আলো। ১৯৭২ থেকে ৭৫ সালের পুরো সময় ধরে- এ ধরনের অপপ্রচারের মাধ্যমে ১৫ আগস্টের ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছিল সাম্রাজ্যবাদের এদেশিয় দালাল গং। মিথ্যা গুজব চালিয়ে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা অবশ্যই অপরাধ। কিন্তু তার চেয়েও বড় অপরাধ ‘child exploitation’ বা শিশু শোষণ।
জানা গেছে, দৈনিক প্রথম আলোর ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে ভাইরাল হওয়া খবরের ছবি ছিলো, ফুল হাতে জাতীয় স্মৃতিসৌধের ফটকে একটি শিশু। প্রথম আলোর ভাষ্যমতে, শিশুটির নাম জাকির হোসেন। শিশুটির উদ্ধৃতি ছিলো এমন- ‘পেটে ভাত না জুটলে স্বাধীনতা দিয়া কি করুম। বাজারে গেলে ঘাম ছুটে যায়। মাছ, মাংস আর চাইলের স্বাধীনতা লাগবো’। কিন্তু পরে জানা গেছে, প্রথম আলোর এই প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ ভুয়া। শিশুটির নাম সবুজ এবং সে প্রথম শ্রেণির একজন ছাত্র। সে মোটেও দিনমজুর নয়। বরং সে পরিবারকে সাহায্য করার জন্য স্কুল শেষ করে বিকেল বেলায় মায়ের সাথে ফুল বিক্রি করে থাকে।
এ ঘটনায় প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে গতকাল বুধবার (২৯ মার্চ) রাতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা হয়েছে। রাজধানীর রমনা থানায় করা এই মামলায় প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক (সাভারে কর্মরত) শামসুজ্জামানকেও আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া আসামিদের মধ্যে ‘সহযোগী ক্যামেরাম্যান’সহ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরাও রয়েছেন। এই মামলার বাদী হয়েছেন হাইকোর্টের আইনজীবী আবদুল মালেক (মশিউর মালেক)।
এদিকে প্রথম আলোতে প্রকাশিত এ সংবাদের ঘটনায় দৈনিকটির সাভারে কর্মরত নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামসকে আটক করেছে সিআইডি। বুধবার (২৯ মার্চ) ভোর ৪টায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের এলাকা আমবাগান থেকে তাকে আটক করা হয়। শামসুজ্জামান শামসের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলাও দায়ের করা হয়েছে।
বিজ্ঞ মহল বলছেন, একটা শিশুকে হাতে ১০ টাকা ধরিয়ে দিয়ে তাকে ব্যবহার করা হয়েছে। এভাবে একটি শিশুকে ব্যবহার শুধু অনৈতিকই নয়, আইন বিরুদ্ধও বটে। Child Exploitation বা শিশু শোষণ- এর অপরাধে অপরাধী প্রথম আলো। Child Exploitation বা শিশু শোষণ আইনে- যে কোনো আন্তর্জাতিক আইনেরও violation বা লঙ্ঘন বলেও জানান সচেতন বিজ্ঞ মহল।
বিজ্ঞ মহলে প্রশ্ন ওঠেছে, বার বার অপরাধ করেও কেন গ্রেপ্তার হচ্ছেন না প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান? বিজ্ঞ মহল আরও বলছেন, প্রথম আলোর দায়িত্বজ্ঞানহীনতার জন্য রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুলে একটি শিশু মারা গিয়েছিল। প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান সেই শিশু হত্যা মামলার আসামি। প্রথমে শিশু হত্যা এবং এবার Child Exploitation, এর দায় কার? মতিউর রহমানকে কি গ্রেফতার করা উচিত নয়?
অপরদিকে দেখার বিষয় প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে যে মামলা হয়েছে, সে মামলায় তিনি গ্রেপ্তার হন কি না? এছাড়াও, শিশু শোষণ আইনের যে লঙ্ঘণ করে ছবি তোলা হয়েছে, তাতে প্রথম আলো বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আরও কোনো মামলা হয় কি না? এছাড়াও, একটি দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে প্রথম আলো যে দেশদ্রোহী সংবাদ পরিবেশন করেছে?
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন