দৌড়াতে গিয়ে ইনজুরির শিকার মাশরাফি

তিনি অধিনায়কত্ব ছাড়লেও খেলা ছাড়েননি। আনুষ্ঠানিক অবসরের ঘোষণাও দেননি মাশরাফি। বরং বারবার আকার ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি জাতীয় দলের হয়ে আরও কিছুদিন ওয়ানডে খেলতে চান।

তারপরও করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর ফিটনেসে ঘাটতি থাকা এবং সে অর্থে প্র্যাকটিসে না থাকায় চলমান বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপে কোনো দলেই নেই মাশরাফি।

যদিও তিনি কিছুদিন পর শুরু হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে খেলবেন। এ খবর আগেই জানা। খোদ বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন নিজেই জানিয়েছেন টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে থাকবেন মাশরাফি।

সে লক্ষ্যেই নিজেকে ফেরাতে বাসার পাশে মিরপুর সিটি ক্লাব মাঠে রানিং শুরু করেছিলেন জাতীয় ওয়ানডে দলের সাবেক অধিনায়ক। তবে শেষ খবর, আজ বুধবার হঠাৎ হ্যামস্ট্রিং ইজুরির শিকার নড়াইল এক্সপ্রেস।

তার খুব ঘণিষ্ট একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, বুধবার বিকেলে দৌড়ানোর সময় হ্যামস্ট্রিংয়ে টান লাগে মাশরাফির।

প্রসঙ্গতঃ গত ২০ জুন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন মাশরাফি। এরপর বাসাতেই প্রয়োজনীয় চিকিৎসা গ্রহণ করেন। তিনি আক্রান্ত থাকাকালেই তার স্ত্রীও করোনা আক্রান্ত হন। যদিও ওই সময় তাদের দুই সন্তান হুমায়রা এবং সাহেল সুস্থ ছিলো। বেশ কিছুদিন লড়াই করারপর ১৪ জুলাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টের মাধ্যমে করোনামুক্ত হওয়ার ঘোষণা দেন মাশরাফি।

তবে এবার আর তাদের দুই সন্তান নিরাপদ থাকলো না। আক্রান্ত হয়েছে করোনায়। মেয়ে হুমায়রা প্রায় ৮-১০দিন হয়ে গেছে আক্রান্ত হওয়ার পর। ছেলে সাহেলও করোনা আক্রান্ত হয়েছে, ৪-৫দিন হলো। যদিও তারা সুস্থ রয়েছে এবং বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছে।