দ্রুতযান এক্সপ্রেস’র বাহিরে ফিটফাট, ভিতরে সদরঘাট, নেই কোনো দেখভাল, হয়রানিতে যাত্রীমহল!

দ্রুতযান এক্সপ্রেসে’র বাহিরে ফিটফাট ভিতরে সদরঘাট, নেই কোনো দেখভাল। ‘চার্জার বোর্ড আছে কিন্তু অকেজ, লাইটের সুইচ আছে কিন্তু ডাইরেক্ট, ফেনের চেম্বার আছে সুইচ আছে কিন্তু ফ্লেক্সিবল নয়’ দেখবে কে? হয়রানিতে যাত্রীমহল! এই দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনটি দেখতে সুন্দর হলেও যাত্রী সেবা নেই বললেই চলে। মানে ট্রেনটির বাহির খুবই সুন্দর কিন্তু ভিতরে তার সেবার লেশ মাত্র নাই। এর মধ্যে রয়েছে কর্মরত স্টাফদের অযাচিত ব্যবহার।

“বাহিরে ফিটফাট আর ভিতরে তার সদরঘাট”। এই কথাটার সাথে আমরা মোটামুটি সবাই পরিচিত। তবে এটা যদি হয় দ্রæতযান এক্সপ্রেসকে ঘিরে তাহলে অবাক হবার কিছুই থাকবেনা। শিরোনামটি আমাদের দেশে বেশ প্রচলিত একটি প্রবাদ। আর এটা এই লেখায় প্রয়োগ করাকে যথার্থ মনে হল। জানিনা আপনাদের কাছে কেমন মনে হবে। যারা নিজেদের কে সবদিক থেকে স্বয়ংসম্পুর্ন ভেবে কিছুটা অহংকার বোধ করে অথচ তাদের অভ্যন্তরীন সার্বিক অবস্থা রীতিমতো আতকে উঠার মতো। হ্যা যাত্রী সেবা নিয়ে দ্রæতযান এক্সপ্রেস এর উপর এমনটাই তিলক লেপন করা হয়েছে।

গত শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর ২০২১) রাত সাড়ে ৮টার সময় ঢাকা বিমান বন্দর রেলস্টেশন ছেড়ে আসা দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনে করে বীরমুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম স্টেশন পঞ্চগড়ে এলে এই সেবার নামে অকেজ সরাঞ্জামের চিত্র চোখে পড়েন। ট্রেনটির ‘ঝ’ বগির সি-৩ নম্বর সিটটি ছিল প্রতিবেদকের।
প্রতিবেদনকারী তরিকুল ইসলাম জানান, তিনি তার মোবাইল ফোনটি বারবার চার্জের জন্য ট্রেনে থাকা সকেট বোর্ডটিতে চার্জার পিন প্রবেশ করালে চার্জ নেয়নি, এভাবে কয়েকটি সিটের সকেট বোর্ডে চেষ্টা করেও লাভ হয়নি। তার মাথার উপর জ্বলে থাকা লাইট অফ করতে চাইলে সেটিও বন্ধের কোনো সুইচ পাওয়া যায়নি। এদিকে ফেনের সুইচ ঠিক থাকলে ফেনটির নেই কোনো ফ্লেক্সিবলতা। এছাড়াও আরো অনেক হয়রানিতে ভুগছেন যাত্রীসেবাগণ।

জানা যায়, ট্রেনের ওই বগির অনেকে এই নষ্টে ভরা সরাঞ্জমের পরিহার চেয়ে অনতিবিলম্বে এর ব্যবস্থা নিতে মাননীয় রেলপথ মন্ত্রীসহ বাংলাদেশ রেলওয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তার প্রতি জোরদার দাবি জানিয়েছেন।