নওগাঁর পত্নীতলায় শব্দ দুষণে অতিষ্ঠ মানুষ
নওগাঁর পত্নীতলায় ডাক্তারদের প্রচারণায় ব্যবহৃত প্রায় অর্ধশতাধিক প্রচার মাইকের জ্বালায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে নজিপুর পৌরবাসী। প্রতিদিন সকাল থেকে শুরু করে সন্ধ্যা অবধি পৌরসদর সহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় চষে বেড়াচ্ছে এ সকল প্রচার মাইকিং এর ভ্যান ও অটোবাইক।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রচার শেষ করে বিকেল থেকে সন্ধ্যা অবধি এ সকল প্রচার ভ্যান অবস্থান করে নজিপুর পৌর সদরে। অর্ধ শতাধিক প্রচার মাইক এর অব্যাহত শব্দে এ সময় নজিপুর চারমাথা বাসষ্ট্যান্ড গোল চত্বরে অবস্থান করাই কঠিন হয়ে পড়ে। অনেকেই শব্দের তীব্রতা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য দুইকান ঢেকে রাখতে বাধ্য হয়।
ডাক্তারদের প্রচারণায় ব্যবহৃত এ সকল প্রচার মাইক কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে প্রতিনিয়ত শব্দ দুষণ করে সাধারণ মানুষের ক্ষতি করে চললেও কর্ত্তৃপক্ষ যেন নির্বিকার। শব্দ দুষণ থেকে রক্ষা পাবার জন্য এলাকার সচেতন মানুষ ডাক্তারদের প্রচারণার জন্য নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেওয়ার জন্য দাবী জানিয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পত্নীতলা উপজেলা সদর নজিপুর ছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন স্থান মিলে প্রায় ২৫-২৯টি ডাগাগনষ্টিক সেন্টার ও ক্লিনিক রয়েছে। এ সকল ডায়াগনষ্টিক সেন্টার ও ক্লিনিকে প্রতি শুক্রবার ঢাকা, রাজশাহী, বগুড়া ও জয়পুরহাট থেকে প্রায় শতাধিক বিশেষজ্ঞ ডাক্তার আসেন এবং চিকিৎসা প্রদান করে চলে যান।
আর এ সকল ডাক্তারদের প্রচারণায় সপ্তাহের প্রতিদিন উপজেলায় চষে বেড়ায় অর্ধশতাধিক প্রচার মাইক ভ্যান। এর পাশাপাশি রয়েছে অন্যান্য প্রচার ভ্যান। প্রচার ভ্যানসমুহের অব্যাহত উচ্চ স্বরের কারণে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। নজিপুর বাসষ্ট্যান্ডের ফটোকপি ব্যবসায়ী কাউসার জানান, সকাল থেকেই প্রচার মাইকের প্রচারণা শুরু হলেও বিকেলে বাসষ্ট্যান্ডে সকল প্রচার ভ্যানগুলো এক জায়গায় হলে চরম শব্দ দুষণের সৃষ্টি হয়।
বাধ্য হয়ে অনেক সময় কানে হাত দিয়ে চেপে থাকতে হয়। কাপড় ব্যবসায়ী খালেক জানান, প্রচার মাইকের কারণে ক্রেতাদের সাথে ঠিকমতো কথা বলা যায় না। অনেক সময় ক্রেতাদের সাথে কথা বলা বন্ধ রাখতে হয়। ডাক্তারদের প্রচার মাইকের অত্যাচার থেকে রক্ষা পাবার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগ গ্রহণের দাবী জানান তিনি।
এ বিষয়ে নজিপুর বণিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক এ, জেড মিজান বলেন, ডাক্তারদের প্রচার মাইকের কারণে চারমাথা বাসষ্ট্যান্ড চত্বরে অবস্থান করাই কঠিন হয়ে পড়ে। ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে সাধারণ পথচারীরা অতিষ্ঠ হয়ে গেছে। শব্দ দুষণ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ডাক্তারের প্রচার ভ্যানগুলোকে দিনের একটি নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেওয়ার লক্ষ্যে উদ্যোগ গ্রহণের জন্য স্থানীয় প্রশাসনের নিকট দাবী জানান এই ব্যবসায়ীক নেতা।
ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক ব্যাবসাহী মালিকের জানান, প্রচারে প্রসাদ, এখানে প্রতিজগিতার মাধ্যমে ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো চলছে। এই বিষয়ে পত্নীতলা নির্বাহী অফিসার আবু হোসেন জানান বিষয় টি জরুরি ভাবে খতিয়ে দেখা হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন