নওগাঁর পত্নীতলায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন
নওগাঁর পত্নীতলায় বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে যথাযথ মর্যদায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২৩ উদ্যাপন করা হয়েছে।
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে পত্নীতলায় রবিবার উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে প্রত্যুষে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে নজিপুর সরকারী মডেল উচ্চ বিদ্যালয় শহীদ মিনারে উপজেলা প্রশাসন, আওয়ামীলীগসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল ও তার অঙ্গ সংগঠন এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের পাশাপাশি বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠান, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন, বিভিন্ন সংস্থা পুষ্পমাল্য অর্পন করে শহীদের শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং ১ মিনিট নিরবতা পালন ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সহ সকল শহীদদের আত্মার মাগফিরাত ও দেশ এবং জাতির মঙ্গল কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
পরে নজিপুর সরকারী মডেল উচ্চ বিদ্যালয় শহীদ মিনার মাঠে সকাল সাড়ে ৮টায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল গাফফার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ রুমানা আফরোজ ও পত্নীতলা থানার আফিসার ইনচার্জ পলাশ চন্দ্র দেব আনুষ্ঠানিক ভাবে জাতীয় সংগীতের সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বেলুন ও শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে কুচকাওয়াজ উদ্বোধন করেন। উদ্বোধন শেষে প্যারেড পরিদর্শন, পুলিশ-আনসার সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে পরিদর্শন করেন।
পরে শহীদ ও প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ রুমানা আফরোজের সভাপতিত্বে মুক্তিযুদ্ধের তাৎপর্য তুলে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল গাফফার, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আব্দুল খালেক চৌধুরী, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আহাদ (রাহাদ), মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খাদিজাতুল কোবরা মুক্তা, মুক্তিযোদ্ধা সাইদুর রহমান, সোলায়মান আলী, পত্নীতলা থানার আফিসার ইনচার্জ পলাশ চন্দ্র দেব। এসময় উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা, অন্যান্য কর্মকর্তাগন, সূধীজন প্রমূখ।
বিকালে বিভিন্ন খেলাধূলা ও প্রীতি ফুটবল টুর্নামেন্ট বিজয়ীদের পুরষ্কার প্রদান শেষে সন্ধ্যায় উপজেলা সদর নজিপুর বাসস্ট্যান্ড গোলচত্বর এলাকায় মুক্তিযুদ্ধো ভিত্তিক প্রামাণ্য চলচিত্র প্রদদর্শন অনুষ্ঠিত হয়। দিবসটি উপলক্ষে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও শিশু পরিবার, এতিমখানায় উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়। এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে উপজেলার সকল মসজিদে বাদ যহর শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত এবং মন্দির সহ অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে শহীদের আত্মার শান্তি কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন