নওগাঁর বদলগাছীতে ককটেল উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ

নওগাঁর বদলগাছীতে দুটো ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া অবিস্ফোরিত ৬টি ককটেল উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। সোমবার (৪ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার গোবরচাঁপা হাট নামক স্থানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মুল ফটকের সামনে এই ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এর ফলে পুরো বাজারে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। ‍

এদিকে ঘটনার পর এদিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলা বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে তাদের বিচার দাবি করে।

স্থানীয় একাধিক বাসিন্দারা জানান, সোমবার রাতে উপজেলার মিঠাপুরের দিক থেকে একটি মাইক্রোবাস আসছিল। ওই মাইক্রোবাসটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছে আসা মাত্রই হঠাৎ করে ককটেল বিস্ফোরণে শব্দ শোনা যায়। ধারণা করা হচ্ছে ওই মাইক্রোবাস থেকে ককটেলগুলো নিক্ষেপ করা হয়েছে। এতে কারো কোনো ক্ষতি না হলেও বাজারের ব্যবসায়ী ও স্থানীয়দের মাঝে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। মাইক্রোবাসটি গোবরচাঁপা হয়ে বদলগাছীর দিকে চলে যায়।

রাত সাড়ে নয় টার দিকে জানতে চাইলে বদলগাছী উপজেলা বিএনপির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবু রায়হান গিটার মুঠোফোনে বলেন, আমি শব্দ শুনতে পেয়ে সেখানে যাই। গিয়ে শুনতে পাই দুটো ককটেল বিস্ফোরণ হয়েছে। মাইক্রোবাস থেকে ককটেল গুলো নিক্ষেপ করা হয়েছে। আর জয় বাংলা স্লোগান দেওয়া হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান।

তিনি আরও বলেন, দেশ ও সমাজকে অস্থিতিশীল করা কারো কাম্য নয়। আমরা সমাজকে ভালো করে গড়তে চাই। তবে জয় বাংলার স্লোগান দেওয়াতে আমরা মনে করছি আওয়ামীলীগের দোসরার এখনও আছে এবং জানান দিচ্ছে তারা মাঠে আছে। তাই যারা এধরণের অন্যায় কাজ করবে তাদেরকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।

রাত পৌনে দশটার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বদলগাছী থানার অফিসার ইনচার্জ শাহ্জাহান আলী। তিনি বলেন, খবর পাওয়া মাত্রই আমরা ঘটনাস্থলের দিকে রওনা হই। এসময় দুটো সাদা মাইক্রোবাস বদলগাছীর দিকে চলে যেতে দেখা যায়। এরপর আমরা ঘটনাস্থল থেকে অবিস্ফোরিত তাজা ৬টি ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে। তবে সেখানে দুটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়।

তিনি আরও বলেন, এঘটনায় কয়েকজন আহত হয়েছে বলে শুনেছি। তবে তারা কোথায় চিকিৎসা নিচ্ছে সেটা আমার জানা নেই। মামলার প্রস্তুতি চলছে। পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।