নওগাঁর বদলগাছী প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার এর বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম এর অভিযোগ
নওগাঁর বদলগাছীতে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা), সংস্কার কর্মসূচির অধীন বাস্তবায়িত প্রকল্প নিয়ে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ। যেসব প্রকল্প নেওয়া হয়, সেগুলোর বেশিরভাগেই এক চতুর্থাংশের কাজ হয় না। আর কিছু কিছু প্রকল্প আছে শুধু মাত্র কাগজে। বাস্তবে কাজের কোন অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাবে না। এভাবে বেশিরভাগ প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে শুধু কাগজের দলিলে। আবার কোনো কোনো প্রকল্পে নামমাত্র কাজ দেখিয়ে তদারকি কর্মকর্তাদের যোগসাজশে বরাদ্দকৃত বেশিরভাগ টাকা ভাগ বাটোয়ারা করে নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
উপজেলা পিআইও অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০২১-২২ অর্থবছরে উপজেলার ঐতিহাসিক পাহাড়পুর ইউনিয়নের রাজপুর গ্রামের শাহিনের বাড়ী হইতে রতনের বাড়ী পর্যন্ত রাস্তায় মাটি ভরাট ও ইটসোলিং করণের জন্য কাবিখা প্রকল্পের আওতায় ৫.৪৪১ মেট্রিক টন গম বরাদ্ধ দেওয়া হয়। যা প্রকল্পের নামমাত্র কাজ হয়েছে।আর ও জানা যায়, এই প্রকল্পের জন্য ওবাইদুল হককে ভুয়া ইউপি সদস্য বানিয়ে প্রকল্প সভাপতি করেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের রাজপুর গ্রামের শাহিনের বাড়ী থেকে রতনের বাড়ী পর্যন্ত রাস্তায় মাটি ভরাট ও ইটের সোলিং করার কথা থাকলে ও বাস্তবে আনুমানিক বিশ ফিটের মত রাস্তা ইট সোলিং করা হয়েছে যা প্রায় দেড় থেকে দুই হাজার ইটের কাজ হয়েছে।এই কাজের জন্য কাবিখা প্রকল্পের আওতায় ৫.৪৪১ মেট্রিক টন গম বরাদ্দ দেওয়া হয়। যা প্রকল্পের নামমাত্র কাজ হয়েছে। এভাবেই কাগজে-কলমে প্রতিটি প্রকল্পে শতভাগ কাজ দেখিয়ে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অব্যাহতি দেন প্রকল্প সভাপতি কে।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাজপুর শাহিনের বাড়ী থেকে রতনের বাড়ী পর্যন্ত রাস্তায় মাটি ভরাট ও ইট সোলিং করার কথা থাকলে ও বাস্তবে বিশ ফিটের মত শুধু ইট সোলিং কাজ হয়েছে। প্রকল্প বিষয়ে স্থানীয়রা কিছুই জানেন না। নামমাত্র কাজ করে সমুদয় গম উত্তোলন করা হয়েছে। এলাকা বাসি আরো বলেন,জনৈক ওবাইদুল হক কোন ইউপি সদস্য নয়।
প্রকল্প সভাপতি ওবাইদুল হক বলেন,আমি এই প্রকল্পের সভাপতি।আমি কোন ইউপি সদস্য নই।
পাহাড়পুর ইউপি চেয়ারম্যান সাহেবকে রাজপুর শাহিনের বাড়ী থেকে রতনের বাড়ী পর্যন্ত রাস্তার কোনো কাজ করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, কাজ হয়েছে।
তৎকালীন দায়িত্বরত উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো.মাহাবুব আলম বলেন, যে প্রকল্প চলে গেছে তা নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করে কোন লাভ আছে? তবে প্রকল্পগুলোতে কিছু কিছু কাজ হয়েছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) ময়নুল ইসলাম বলেন, আমি কিছু বলতে পারবো না। এর আগে যে স্যার ছিলেন তিনি প্রকল্পগুলোর বিষয়ে বলতে পারবেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোসা. আল্পনা ইয়াসমিন এর সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে মোবাইল ফোন টি রিসিভ করেননি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন