নওগাঁর মান্দায় প্রকাশিত সংবাদটি মিথ্যা দাবি মান্দা থানার এসআই

নওগাঁর মান্দায় সম্প্রতি একটি মামলায় অভিযুক্তদের পক্ষ থেকে থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফজলু রহমান-এর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণরূপে ভিত্তিহীন এবং মিথ্যা বলে দাবি করেছেন তিনি।

তাঁর মতে, ‘মান্দায় দূর্ঘটনায় আহত যুবককে দিয়ে থানায় মামলা’ শিরোনামে যে সংবাদটি প্রকাশিত হয়েছে, তা অসত্য তথ্যের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে এবং এতে তাঁর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করা হয়েছে।

এসআই ফজলু রহমানের দাবি ও কর্তৃপক্ষের বক্তব্য এসআই ফজলু রহমান অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছেন যে, মামলাটি দায়ের করা হয়েছে এজাহার এবং মেডিকেল সার্টিফিকেট (এমসি)-এর উপর ভিত্তি করে।

এজাহারে উল্লিখিত তথ্য এবং আহত ব্যক্তির মেডিকেল ডকুমেন্ট যাচাই করেই আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, “আমি মামলার এজাহার (FIR) দেখে মেয়ের বয়স দিয়েছি। এছাড়া বাদীপক্ষ মেডিকেল থেকে এমসি (মেডিকেল সার্টিফিকেট) এনেছেন।

একজন তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে প্রাথমিক পর্যায়ে এজাহার এবং ডাক্তারি প্রমাণপত্রের উপর নির্ভর করেই ব্যবস্থা নিতে হয়।” মামলার তদন্ত প্রক্রিয়ায় গাফিলতি, ব্যক্তিগত আক্রোশ বা মোটা অংকের টাকা নেওয়ার অভিযোগ কঠোরভাবে অস্বীকার করেন তিনি।

তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, আহত যুবক রেজাউল ইসলামের আঘাতের উৎস বা পূর্বের দুর্ঘটনা সম্পর্কে তাঁকে অবহিত করার পরও তিনি তা আমলে নেননি—এমন দাবিও মিথ্যা। নাবালিকার বয়স সংক্রান্ত বিষয়ে ওসি’র মন্তব্য এদিকে, গ্রেফতার হওয়া কিশোরীর বয়স নিয়ে সৃষ্ট বিতর্কের বিষয়ে মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনসুর রহমান স্পষ্ট জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, “মামলার আইও (তদন্তকারী কর্মকর্তা) যেহেতু ফজলু, সেহেতু তিনি ঘটনা সব কিছু জানেন। তবে তদন্ত না করে নাবালিকাকে তার ইচ্ছে মতন বয়স বাড়িয়ে সাবালিকা বানালে এর দায় তাকেই নিতে হবে।” ওসি’র এই বক্তব্য থেকে স্পষ্ট হয় যে, তদন্তে বয়স সংক্রান্ত কোনো গরমিল প্রমাণিত হলে তার দায়ভার তদন্তকারী কর্মকর্তার উপর বর্তাবে এবং প্রচলিত আইনি নিয়ম মেনেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মামলার প্রেক্ষাপট জানা যায়, গত (২৫ এপ্রিল) শুক্রবার রাতে উপজেলার পরানপুর ইউপির পরানপুর দক্ষিণপাড়া গ্রামে প্রতিবেশী দেলুয়ার গংদের সাথে সোলাইমান আলী সরদারের পরিবারের পারিবারিক ঝামেলা নিয়ে মারপিটের ঘটনা ঘটে।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষই থানায় পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের করে। অভিযোগকারী রায়হান আলীর পরিবার দাবি করে যে, তাদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলায় আহত যুবক রেজাউল ইসলাম তিন মাস পূর্বে চট্টগ্রামে কাজ করতে গিয়ে আহত হয়েছিলেন, মারপিটের ঘটনায় নয়।

তবে পুলিশ প্রশাসন মনে করছে, উভয় পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে এবং প্রয়োজনীয় আইনি দলিলপত্র দেখে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। মামলার তদন্ত চলছে এবং অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে আসল ঘটনা উন্মোচিত হবে।