নওয়াজ শরিফ বিদায়ে বিপদে পড়বে ভারত!

পাকিস্তানে চলছে রাজনৈতিক অস্থিরতা। বিদায় নিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। তাকে অযোগ্য ঘোষণা করে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট শুক্রবার যে রায় দিয়েছেন তা স্বভাবতই রীতিবিরুদ্ধ। তবে নওয়াজ ঠিক কতদিনের জন্য অযোগ্য বিবেচিত হবেন সে বিষয়ে এখনও পরিষ্কার কোনো তথ্য নেই। যদিও অনেক আইন বিশেষজ্ঞ বলছেন, নওয়াজ প্রধানমন্ত্রী পদে আজীবনের জন্য অযোগ্য বিবেচিত হবেন।

এদিকে এই রাজনৈতিক পট পরিবর্তন বিপদ বাড়াবে ভারতের। এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

একটি ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সূত্রে জানা যাচ্ছে, শরিফের বিদায়ের ফলে পাকিস্তানে মাথাচাড়া দেবে সামরিক বাহিনীর শক্তি। পাশাপাশি তাদের সাহায্যে সন্ত্রাসবাদও শক্তিশালী হবে। ফলে বিপদ বাড়বে ভারতের।

পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী সে দেশের সন্ত্রাসবাদকে মদত জোগায়, এই অভিযোগ বহুদিনের। ফলে যখনই সামরিক বাহিনীর শক্তি বাড়বে, তখনই জঙ্গিদেরও শক্তিবৃদ্ধি ঘটবে, এ কথাও সকলের জানা। আপাতত শরিফ সরে যাওয়ায় সে দেশের সামরিক বাহিনী ও সন্ত্রাসবাদীদের শক্তিবৃদ্ধি হবে, এ কথা ধরেই নেয়া যায়।

পাকিস্তানে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার জি পার্থসারথী জানাচ্ছেন, রাজনৈতিক অস্থিরতার ফলে পাকিস্তানের সামরিক শক্তি লাভবান হয়েছে। ফলে তাদের মদতে সন্ত্রাসবাদীরাও শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে।

পার্থসারথী বলছেন, নওয়াজ শরিফ ক্ষমতায় থাকার অর্থ, অন্তত একজন রাজনীতিক ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি চাইছেন। কিন্তু তিনি না থাকায় সেনাবাহিনী স্বেচ্ছাচার চালাবে।

পার্থসারথীর সুর একদা বিদেশ সচিবের পদে থাকা ললিত মানসিংহ’র গলাতেও। তিনিও জানাচ্ছেন, পাকিস্তানের এই রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে সেনাবাহিনীর শক্তিবৃদ্ধি করবে। যা ভারতের মাটিতে জঙ্গি কার্যকলাপ আরও বাড়াতে সাহায্য করবে।

একই আশঙ্কার কথা শুনিয়েছেন একদা আমেরিকায় নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূতের পদে থাকা মীরা শঙ্করও।

এখন দেখার, বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কার কথা মাথায় রেখে ভারতীয় সেনাবাহিনী আলাদা করে সীমান্তে নজরদারি বাড়ায় কি না।