নতুন প্রজন্মকেও আর কেউ বিভ্রান্ত করতে পারবে না- এনামুল হক শামীম
পানি সম্পদ উপমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম বলেছেন, বাঙালি এগিয়ে যাচ্ছে। বাঙালি এগিয়ে যাবে। বঙ্গবন্ধুর দেয়া ৭ মার্চের ভাষণ এখনও উজ্জীবিত করে পুরো জাতিকে। যুগ যুগ ধরে প্রেরণা যুগিয়ে যাবে তার ঐতিহাসিক ভাষণ। এদেশের স্বাধীনতাকে আর কেউ নস্যাৎ করতে পারবে না। নতুন প্রজন্মকেও আর কেউ বিভ্রান্ত করতে পারবে না। জাতির পিতা সম্পর্কে নতুন প্রজন্মকে জানতে হবে। সেইসঙ্গে বাংলাদেশ সম্পর্কে জানতে হবে। বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার যেসব কাজ বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করে যাচ্ছেন, সেসব বিষয়ে বিবেচনা করে নতুন প্রজন্মকে তাদের পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমাদের অনেক ঐতিহাসিক ঘটনা রয়েছে। আমাদের শিশু, যুবক ও নতুন প্রজন্মকে এই ইতিহাস জানতে হবে। এটা জানলে তারা দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হবে এবং জনগণের কল্যাণে নিজেদের উৎসর্গ করতে অনুপ্রাণিত হবে। তাহলে তারা দেশের জনগণের সেবা করার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হবে।
(৩০ মার্চ) বুধবার শাহবাগে কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরীতে মুজিববর্ষ’ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী’ উপলক্ষ্যে হাসুমণির পাঠশালা আয়োজিত “বঙ্গবন্ধু উৎসব” এ তিনি এসব কথা বলেন।
এনামুল হক শামীম বলেন, বঙ্গবন্ধু একমাত্র নেতা, যিনি দলকে সংগঠিত করার জন্য ও মানুষের অধিকার আদায়ের মন্ত্রিত্ব ছেড়েছিলেন। সেই দলের নেতৃত্ব দিয়েই তিনি একটা দেশের সৃষ্টি করেছেন। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশকে আলাদা করার কোনো সুযোগ নাই। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যার পর দেশের ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম এবং তাঁর সংগ্রাম ও আত্মত্যাগকে মুছে ফেলার অপচেষ্টা হয়েছে। কিন্তু জাতির পিতার নাম দেশের ইতিহাস থেকে মুছে ফেলা যায়নি, সত্যের জয় হয়েছে। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর কিভাবে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে এ পর্যায়ে নিয়ে এসেছে। বিশ্বে মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে নিয়ে গেছে তা সত্যিই বিস্ময়কর। কোনো ষড়যন্ত্রই তাঁকে দাবিয়ে রাখতে পারে নাই।
হাসুমনির পাঠশালার সভাপতি ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মারুফা আক্তার পপির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা শিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদ, জগ্ননাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম এন্ড টেলিভিশন ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যান অধ্যাপক জুনায়েদ হালিম প্রমূখ।
এছাড়াও খুদে শিল্পীরা দিনব্যাপী বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। পরে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন