নববধূকে সুইসাইড বেল্ট উপহার দিল ‘জিহাদি’ স্বামী?
বিয়ে মানেই একরাশ উপহার। সবার থেকেই কিছু না কিছু উপঢৌকন মেলে নতুন জীবন শুরুর জন্য। কিন্তু নববধূর কাছে সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ সেই উপহারটি, যা তাকে ভালবেসে এনে দেয় প্রিয়জন। স্বামীর দেওয়ার উপহারই নারীর কাছে সবচেয়ে মূল্যবান। সাধারণ ক্ষেত্রে সোনা কিংবা হিরেতেই নারীমন জয় করা যায়। কিন্তু স্বামী যদি ভয়ংকর ‘জিহাদি’ হয়, তাহলে উপহার কী মেলে? বিস্ফোরক ঠাসা আস্ত একটি বেল্ট। হ্যাঁ ঠিকই শুনছেন। নিকাহনামা পড়েই ‘জিহাদি’ স্বামী মোহামেদ হামদাউচের কাছ থেকে এই উপহারই পেয়েছিল নববধূ আসিয়া আহমেদ মোহামেদ।
২৬ বছরের আসিয়া আদতে স্পেনের সিউটা এলাকার বাসিন্দা। ২০১৪ সালে প্রেমের টানে ঘর ছাড়েন তিনি। এসে উপস্থিত হন সিরিয়ায়। বিয়ে করেন আইএস জঙ্গি মোহামেদকে। হিংস্রতার জন্য জঙ্গিমহলে বেশ নাম রয়েছে মোহামেদের। বিশেষ করে মুণ্ডচ্ছেদের প্রয়োজনে নাকি হামেশা ডাক পড়ত তার। তাকে বিয়ে করেই সুইসাইড বেল্ট উপহার পেয়েছিল আসিয়া। কিন্তু বেশিদিন স্বামীর সঙ্গে ঘর করতে পারেনি ২৬ বছরের যুবতী। ২০১৫ সালে ড্রোন হামলায় মৃত্যু হয় মোহামেদের। সে শোক কাটিয়ে ওঠে ফের এক জঙ্গিকে বিয়ে করে আসিয়া। দ্বিতীয়পক্ষের স্বামীর সঙ্গে এক সন্তানও রয়েছে তার।
গত বছরের ডিসেম্বর মাসে তুরস্ক পুলিশের হাতে ধরা পড়ে আসিয়া। ফতিমা আকিল নামে আরও এক মহিলা ও কিছু শিশুর সঙ্গে বেআইনিভাবে ইউরোপে প্রবেশ করার চেষ্টা করছিল সে। হাতেনাতে ধরা পড়ে যায় ২৬ বছরের যুবতী। মঙ্গলবারই তাকে স্পেন পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় তুরস্ক সরকারের পক্ষ থেকে। স্পেন পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের মুখেই এই চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে আসিয়া। জঙ্গিদের ডেরায় এতদিন ছিল সে। তাদের অনেক কাছ থেকে দেখেছে। তাই তার কাছ থেকে আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী স্পেনের গোয়েন্দারা। সূত্র সংবাদ প্রতিদিনি
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন