নরসিংদীতে ঢাকা সিলেট মহাসড়কে মরন ফাদ এখন লাবিবা পরিবহন! ১ মাসে ৪ দূর্ঘঠনা
ব্রাহ্মনবাড়ীয়া থেকে ছেড়েই বেপরোয়া রূপ নেয় লাবিবা পরিবহন। ভৈরব থেকে ছেড়ে এসে মাহমুদা বাস এলাকা অতিক্রম করে লাবিবা পরিবহন সর্বোচ্চ আগ্রাসী রূপ নেয়।
গতকাল (১৬ই মে) মঙ্গলবার নরসিংদী সদর উপজেলায় আব্দুল কাদির মোল্লার সিটি কলেজের সামনে বেপরোয় গতির কারনে লাবিবা পরিবহনের চালক পথচারী মটর সাইকেল এর উপর উঠিয়ে দেয়।
গঠনাস্থলে মটর সাইকেল চালক সহ দুইজন আহত হয়। নরসিংদীর বিভিন্ন বাস স্ট্যান্ডের বিভিন্ন পয়েন্টে শুধু বেপরোয়া গতি নয়, ওভারটেক করতে না দিলে সামনের গাড়ির চালককে শাসান লাবিবা পরিবহনের চালক। এমনকি ট্রাফিক পুলিশেরও নিয়ম মানছেনা তারা বলেছেন পথচারীরা।
বিগত সময়ে এই লাবিবা পরিবহনের বিরোধে একাধিক সংবাদ প্রকাশ হতে দেখা গেছে তবুও তারা কিছুতেই গতি কমিয়ে চালাচ্ছে না। এই মসেই ৪টা সরক দূরঘঠনা ঘঠিয়েছে এর মাঝে একটি বেলাব উপজেলা বারৈচা বাসটেন এলকায় এক মটর সাইকেলের উপর উঠিয়ে দিলে ঘঠনাস্থলে তার পা ভেঙ্গে যায়।
ঘঠনার কয়েক দিন পর লাবিবা পরিবহনের কতৃপক্ষরা ঐ চালকের বাড়িতে গিয়ে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে মিট করে। কিন্তু তারা বিভিন্না স্থানে সরক দূর ঘঠনা করে আইনের ফাকফোক দিয়ে বেড়িয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এই দিকে গতকাল মঙ্গলবার কাদির মোল্লার সিটি কলেজের সামনে লাবিবা পরিবেনের ১৯৮ নাম্বারের গাড়িটি একটি মটর চালকের উপরে উঠিয়ে দেয়। ঘনাস্থলে মটর সাইকেলের চালক গুরতর আহত হওয়ায় ঢাকা মেডিকেল কলেজে পাঠিয়ে দেয় ইটা খোল হাইওয়ে পুলিশ।
এই লাবিবা পরিবহনের বেপরোয়া চালক আর গতির গাড়ির ভিতরে থাকা যাত্রী বলেন ব্রাহ্মনবাড়ীয় থেকে মহাখালী পর্যন্ত দেখা গেছে, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে লাবিবা পরিবহনকে একটি গাড়িও ওভারটেক করতে পারেনি। কিন্তু লাবিবা পরিবহনের বাসটি ওভারটেক করে গেছে শত শত গাড়িকে। এর মধ্যে অনেক ওভারটেক করতে গিয়ে অনেক রিকশা চালককে চাপ দিতে দেখা গেছে। আবার সেকেন্ডের চেয়ে কম সময়ের ব্যবধানে দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছে এমন ঘটনাও ঘটেছে জানিয়েছেন এই গাড়ীতে থাকা যাত্রী এই দিকে ইটা খোলা হাইওয়ে পুলিশের দায়ীতে থাকা সার্জেন আরিফুল হক গন মাধ্যম কর্মীদেরকে জানান তাৎক্ষনিক সরক দূরঘঠনার সংবাদ শুনে অছি স্যারের নির্দেশ অনুযায়ী ঘঠনাস্থলে আমরা যায়।তাৎক্ষনিক মটর সাইকেল চালককে দূর্ত হসপিটালে পাঠিয়ে দেয় লাবিবা পরিবহনের বাসটি ও মটর সাইকেল কে আটক করে আমরা থানায় নিয়ে আসি।
লাবিবা পরিবহনের বাসের ক্ষিপ্র গতির কাছে যেন অসহায় বাকি সব বাস মাইক্রোবাস ও অন্যান্য যানবাহন। স্প্রিডব্রেকার, মোড় আর পুলিশের সাইনবোর্ড সিগন্যালকে তুচ্ছ করেই বাসটি চলছে মহাখালীর পথে। মহাসড়কে ৮০ কিলোমিটারের উপরে গতি তোলার নিয়ম নেই কিন্তু লাবিবা পরিবহনের বাসটিকে কিছুক্ষণ পরপরই ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত গতিতে তুলেছেন চালক-এমনটা অভিযোগ উঠেছে।
এইদিকে লাবিবা পরিবহনের কতৃপক্ষের নিকট বিষয়টি জানতে চাইলে তারা কোন কথা বলতে রাজি হয় না এইদিকে লাবিবা পরিহনের দায়িতে থাকা সুজন তার সাথে কথা বলতে চাইলে তিনিও কোন কথা বলতে রাজি হন নি।
এইদিকে হাইওয়ে পুলিশ সুপারের নিকট মোবাইল ফোনে সংবাদ কর্মী রুদ্র জানতে চাইলে তিনি বলেন বিষয়টি যেহেতু আপনি আমাকে বলেছেন অবশ্যই আমি বিষয়টি তদন্ত করবো ও দ্রæত ব্যবস্থা নেবো।
এইদিকে নরসিংদী জেলার এক পরিবহন নেতা পরিচয় দেওয়া ব্যক্তি আল আমিন বলেন এই লাবিবা পরিবহন টি একটি মরন ফাদ এই দিকে এই পরিবহন টি বিভিন্ন স্থানে সরক দূর্ঘঠনা ঘটিয়েছে অনেকে পঙ্গু হতেও দেখা গেছে মারাও গিয়েছে অনেক লোক তাই আমি মনে করি যে এই লবিবা পরিবহনের বিরোধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন