নরসিংদীতে বেলাবতে চালককে মারধর করে গর্তে ফেলে দিয়ে অটোরিকশা ছিনতাই
নরসিংদীর বেলাবতে মো. তৌফিক মিয়া (৪০) নামের এক অটোচালককে পিটিয়ে অচেতন অবস্থায় সড়কের পাশের গর্তে ফেলে দিয়ে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার পাটুলি ইউনিয়নের টঙ্গীরটেক—বাদশা মোড় বাজার সড়কের শিংবাড়ির মোড় এলাকার ওই গর্ত থেকে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায় বেলাব থানা পুলিশ।
আহত অটোচালক মো. তৌফিক মিয়া (৪০) কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়ারচরের গোবরিয়া গ্রামের মৃত শহীদুল্লাহ মিয়ার ছেলে। অটোরিকশার উপার্জন দিয়েই স্ত্রী ও তিন ছেলেকে নিয়ে সংসার চালান তিনি। রোববার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে অটোরিকশা নিয়ে বের হওয়ার পর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন মো. তৌফিক মিয়া।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সোমবার সকাল ১০টার দিকে স্থানীয়রা চলাচলের সময় সড়কের পাশের প্রায় ২০ ফুট গভীর গর্তের মধ্যে এক ব্যক্তিকে পড়ে থাকতে দেখেন। এ সময় এগিয়ে গিয়ে তারা দেখেন সারা শরীরে মারধরের চিহ্ন থাকা ওই ব্যক্তি বেঁচে আছেন।
খবর পেয়ে থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে বেলাব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। ফেসবুকে তৌফিক মিয়ার ছবি দেখে বেলাব থানায় যোগাযোগ করেন তার পরিবারের সদস্যরা। দুপুর ১২টার দিকে তারা বেলাব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে তাকে শনাক্ত করেন মা ফাতেমা বেগম ও স্ত্রী সবলা বেগম।সেখানে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
তৌফিক মিয়ার মা ফাতেমা বেগম ও স্ত্রী সবলা বেগম জানান, রোববার সন্ধ্যায় অটোরিকশা নিয়ে বের হন তৌফিক মিয়া। রাত ১০টার দিকে নিয়মিত বাড়ি ফিরলেও কাল ফেরেননি। এরপর থেকে তার আর কোন খোঁজও পাওয়া যাচ্ছিল না। বেলা ১১টার দিকে ফেসবুকে তার ছবি দেখে হাসপাতালে আসি।
তারা আরও জানান, নির্জন স্থান পেয়ে তার অটোরিকশাটি ছিনিয়ে নেওয়ার জন্যই তাকে মারধর করা হয়েছে। পরে অচেতন হয়ে পড়লে মৃত ভেবে ওই গর্তে ফেলে দিয়ে তার অটোরিকশাটি ছিনিয়ে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। তারা তার মুঠোফোনটিও নিয়ে গেছে।
বেলাব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভীর আহমেদ বলেন, তৌফিক মিয়া নামের ওই অটোচালককে ব্যাপক মারধর করা হয়েছে, তাকে অচেতন অবস্থায় একটি গর্তে ফেলে তার অটোরিকশাটি ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার মাধ্যমে সুস্থ করার চেষ্টা চলছে। এই অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন