নরসিংদীতে ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারীর বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করায় প্রাণনাশের হুমকি

নরসিংদীতে ডিসি অফিসের চুতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী আব্দুল জলিল এখন পাসপোর্ট অফিসের প্রধান দালাল। সাম্প্রতি তার এই কু-কৃর্তি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।

এমনকি স্থানীয় প্রতিকায় “মিনি পাসপোর্ট” নামে একটি সংবাদ প্রকাশ হয়। ইদানিং তার এই দুর্নীতির রিপোর্ট প্রকাশ পেয়েছে। আর এরই জের ধরে আজ ২৭ শে মার্চ রোজ রবিবার দুপুর ১২ টায় নরসিংদী কোর্ট প্রাঙ্গণের ঈদগাহ মাঠে সংবাদকর্মী সাইফুল ইসলাম রুদ্রকে পাসপোর্টের দালাল আব্দুল জলিলের পালিত সন্ত্রাসী বাহিনীরা ডেকে নিয়ে প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। আরো বলে যে, এসব বিষয়ে কোনদিন সংবাদ প্রকাশ করলে নরসিংদী ঢুকতে দিবে না। তাছাড়া প্রকাশ্যে মেরে লাশ গুম করে ফেলবে। সন্ত্রাসী বাহিনীরা সংবাদকর্মী রুদ্রর নিকট জানতে চায়, এসব সংবাদ প্রকাশ করার বৈধতা কোথায় পেয়েছে?

এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা যায় যে, ডিসি অফিসের চুতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী আব্দুল জলিল এতই শক্তিশালী যে তার বিরুদ্ধে কেউ কোন কথা বললে কিংবা সংবাদকর্মীরা সংবাদ প্রকাশ করলে তাদেরকে ডেকে নিয়ে লাঞ্চিত করারও অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এদিকে আব্দুল জলিল সংবাদ কর্মী রুদ্রকে বলেন, তুই ক্যামেরা নিয়ে কেন ঘুরাফেরা করিস? তুই তো ক্লাবের সদস্য না। আমাকে তোর রিপোর্টের কারণে রায়পুরা বদলী করে দিয়েছে। ডিসি তার ভুল বুঝতে পেরে পুনরায় আমাকে এখানে ফিরিয়ে নিয়ে এসেছে বলে জানান আব্দুল জলিল।

এ বিষয়ে রায়পুরা উপজেলার নির্বাহী অফিসারের নিকট জানতে চাইলে তিনি সংবাদকর্মীদেরকে জানান যেহেতু আব্দুল জলিল ৪র্থ শ্রেনীর কর্মচারী সেহেতু সে এসব কাজ করে বলে আমি শুনেছি। জেলা প্রশাসক মহোদয় তাকে বদলী করে আমার এখানে পাঠিয়েছে। আজকে কেন আসে নাই তা জেনে আপনাকে জানাবো। প্রয়োজনে আমি জেলা প্রশাসকের নিকট রিপোর্ট পাঠাবো।

এ বিষয়ে জেলা পর্যায়ের কিছু সংবাদকর্মীদের নিকট জানতে চাইলে, তারা অনেক কিছু জেনেও এড়িয়ে যান। যেহেতু তারা স্থানীয় পর্যায়ে কাজ করেন তাই স্থানীয় সংবাদকর্মীরা নিজেদের মান সম্মানের ভয়ে মুখ খুলতে রাজি হননি। কারণ এই দালাল চক্র অনেক শক্তিশালী।