নরসিংদীর আশিরনগরে সিএনজি স্ট্যান্ডে চলছে চাঁদাবাজি, বিপাকে অসহায় চালকরা
নরসিংদীতে কিছুতেই থামছে না আশিরনগরের সিএনজি স্ট্যান্ডের অপকৌশলের চাঁদাবাজি। দিন দিন বেপরোয়া হয়ে পড়ছে আশিরনগর সিএনজি স্ট্যান্ডের কথিত দালালরা।
খোঁজ নিয়ে জানাযায়, পৌরসভার ট্যাক্সের নামে অপকৌশল অবলম্বন করে নিজেরা স্লিপ তৈরী করে উক্ত স্লিপের মূল্যের চেয়ে ৩ গুন টাকা উঠাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এদিকে সিএসজি স্ট্যান্ডের চালক আঃ কালাম (ছদ্মনাম) সংবাদকর্মীকে জানান, এই স্ট্যান্ডে গাড়ী চালানোর জন্য আমাকে ১৫ হাজার টাকা দিয়ে ভর্তি হতে হয়েছে। তারপর আমার গাড়ীর একটি নাম্বার দেওয়া হয়েছে। চাঁদাবাজরা এতই শক্তিশালী যে, প্রশাসনও দেখেও না দেখার ভান করে পাশ কাটিয়ে চলে যাচ্ছে। যার ফলে প্রতিনিয়ত ৫০ থেকে ৭০ হাজার টাকার চাঁদা উঠছে বলে আমি জানতে পেরেছি। যেহেতু আপনি একজন সংবাদকর্মী সেক্ষেত্রে আপনার ক্যামেরার সামনে বক্তব্য দিলে কালকেই আমাকে পিটিয়ে গুম করে ফেলবে। তাই আমরাও ভয়ে আতঙ্কিত।
নরসিংদী সদর উপজেলার আশিরনগর সিএনজি স্ট্যান্ডে সিএনজিচালকদের কাছ থেকে প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সিএনজি মালিক সমিতি, সমিতির নেতারা ও কিছু অসাধু রাজনৈতিক পরিচয়ধারী লোকেরা চাঁদা আদায় করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এদিকে সিএনজি চালক জয়নাল আরো বলেন, আমাদের এই সিএনজি স্ট্যান্ডে ৫০০ টিরও অধিক সিএনজি রয়েছে। প্রত্যেকটি সিএনজি গাড়ির চালক ৩-৪ হাজার টাকা দিয়ে এখানকার স্টিকার গাড়ীতে লাগাতে পেরেছেন। তাদের সকলের অভিযোগ, চাঁদা না দিলে এই স্ট্যান্ডে কোন জায়গা মেলে না অধিকাংশ সিএনজি চালকদের।
এক পর্যায়ে বাধ্য হয়ে আমরা টাকা দিয়েই জায়গা নিচ্ছি। এছাড়া প্রতিদিন আমাদেরকে গাড়ী প্রতি ৩০ টাকা দিতে হয়। আর এর মধ্যেও চলে ভাগ বাটোয়ারা। এখান থেকে ১০ টাকা পায় পৌরসভা এবং বাকী ২০ টাকা চলে যায় অসাধু কিছু নেতাদের পকেটে। অথচ, স্থানীয় নেতারা আমাদেরকে বলে দিয়েছে, এই বাড়তি ২০ টাকার বিষয়ে প্রশাসন কোন কথা না বলতে। আমরা যেন তাদের শিখানো মতে উত্তর দিই। তারা আমাদেরকে শিখিয়ে দিছেয়ে যে, এই বাড়তি ২০ টাকা দিয়ে বছরে যা জমবে তা আমাদেরকে ফেরত দেওয়া হবে। কিন্তু এটা আসলে মিথ্যা ও বানোয়াট। কিন্তু এই বিষয়ে মুখ খুললে আমাদের অনেক সমস্যা হতে পারে। তাই আমরা ভয়ে মুখ খুলি না।
এদিকে আজ এক শ্রমিক নেতা বজলু মুন্সির নিকট মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কিছু সাফাই গাইতে থাকেন। অথচ সংবাদকর্মীদের চাপে পড়ে ও কথার ফাঁকে তিনি স্বীকার করেন এখানে কিছুটা চাঁদাবাজি হয়। তবে বড় ধরনের কোন অবৈধ কাজ হয় না। এই আরশিনগরের সিএনজি স্ট্যান্ডের চাঁদাবাজির বিষয়ে ৭ পর্বে তুলে ধরা হবে গুরুত্বপূর্ণ চাঞ্চল্যকর তথ্য।
এ বিষয়ে সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট কিছু জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যেহেতু এই বিষয়ে আপনি আমাদের অবগত করেছেন সেহেতু অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে অপরাধীদের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন