নরসিংদীর পাঁচদোনায় সংঘর্ষে আহত শ্রমিকদল নেতার মৃত্যু, প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ

নরসিংদীর পাঁচদোনায় বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত হওয়ার ৬ দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইউনিয়ন শ্রমিক দল নেতা আলম মিয়ার (৫৫) মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকালে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ নজরল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নিহত আলম মিয়া (৫৫) নরসিংদী সদর উপজেলার পাঁচদোনা ইউনিয়নের বসন্তপুর গ্রামের আলিমদ্দিনের পুত্র ও ইউনিয়ন শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক।

মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৩টায় তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে প্রায় দুই ঘন্টা ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে নিহতের সমর্থক, এলাকাবাসী ও শ্রমিকদলের নেতাকর্মীরা। বিক্ষুদ্ধরা ঢাকা-সিলেট-মহাসড়কের পাঁচদোনা মোড়ে টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে হত্যার বিচারের দাবিতে স্লোগান দেয়। এসময় মহাসড়কে সবধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা।

প্রায় দুই ঘন্টা পর পুলিশ, স্থানীয় বিএনপি নেতা ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপে অবরোধ তুলে নেয়া হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

এর আগে গত ১৮ ডিসেম্বর রাতে নরসিংদীর পাচঁদোনায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির পাঁচদোনা ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি লাল মিয়া মেম্বার ও যুবদল নেতা মোসাদ্দেক গ্রুপের মধ্যে সর্ঘষ হয়। এতে মোসাদ্দেক ও তার লোকজন লাল মিয়া মেম্বারের লোকজনের উপর আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। এতে একজন গুলিবিদ্ধসহ পাঁচজন আহত হয়।

দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে গুরতর আহত পাঁচদোনা ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক আলম মিয়াকে ঢাকার একটি বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানে ৬দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে তার মৃত্যু হয়।

মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ নজরল ইসলাম জানান, মহাসড়ক অবরোধের খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ১ ঘন্টারও বেশি সময় যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ। মোতায়েন রয়েছে।

এর আগে মারামারির ঘটনায় গত ১৯ ডিসেম্বর লাল মিয়া মেম্বারের ছেলে ইব্রাহিম মিয়া বাদী হয়ে মোসাদ্দেককে ১ নং আসামী করাসহ আরও ১৯ জনের বিরদ্ধে মামলা করেন, মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তর হবে। আসামী গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।