নরসিংদীর রায়পুরায় অসহায় নারী শিপাকে একা পেয়ে বাড়িতে হামলা ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ

নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার মরজাল ইউনিয়নে পারিবারিক কলহের জেরে দলবদ্ধ হয়ে বাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট করছে এমন অভিযোগ তুলে রায়পুরা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে সুমন (৩৫)।

গত মঙ্গলবার রাতে উপজেলার মরজাল রাজাবাড়ী এলাকার বাসিন্দা সুমন এর বাড়িতে হওয়া এ হামলার ঘটনায় মঙ্গলবার (১১ জুলাই) রায়পুরা থানায় অভিযোগ করা হয়।

ঘটনাস্থলে সংবাদকমীর্রা তাৎক্ষনিক গেলে দেখা যায় যে, সুমন এর স্ত্রী শিপার গলার স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নিয়ে যায় ও ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর করে মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যায়।

এদিকে শিপা জানায়, পূর্ব শত্র”তা ও পারিবারিক জমির বিরোধ থাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। আমার গলায় থাকা দেড় ভড়ি ওজনের স্বর্ণের চেইনটি ছিনিয়ে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা ও আমার ড্রয়ারে থাকা ৬৫ হাজার টাকা নিয়ে যায় তারা। আমি কিছু বুঝার আগেই তারা আমাকে এলোপাত্থাড়ি মেরে পালিয়ে যায়।

একই এলাকার বাসিন্দা মোঃ বাদল গণমাধ্যমকর্মীদেরকে জানান, এভাবে লুটপাট কোনো বাড়িতে হতে পারে না। তারা এই নারীকে একা পেয়ে সন্ত্রাসীরা বাড়িটিকে লুটপাট করে দৌড়ে পালিয়ে যায়। তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে এলাকার লোকজন জড়ো হলে ৩ জনকে আমরা সনাক্ত করতে পেরেছি। সন্ত্রাসীরা হলো মাসুদ (২৯), র”বেল (১৮), আলমগীর (৩০)। তারা এলাকার চিহ্নিত ভূমিদস্যু। বিভিন্ন সময়ে তারা এলাকায় মাদক সেবন করে এলাকায় সাধারন মানুষের উপর অত্যাচার করে বলে জানান তিনি।

রাজাবাড়ী এলাকার সাবেক ইউপি মেম্বার মিলন সংবাদকর্মী র”দ্রকে জানান, আমি ঘটনাটি শুনে তাৎক্ষনিক সুমনের বাড়িতে আসি। পরে দেখা যায় বাড়িটি ভাংচুর অবস্থায় রয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে সত্য। পুলিশ প্রশাসন এ ব্যাপারে তদন্ত করলে প্রকৃত ঘটনাটি বেরিয়ে আসবে।

মরজাল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোর্শেদ ভূইয়া সংবাদকর্মী র”দ্রকে জানান, এটি একটি ন্যাক্কারজনক ঘটনা। রাতের অন্ধকারে অসহায় একা একটি নারীকে পেয়ে বাড়িতে লুটপাট চালিয়েছে। প্রকৃত অপরাধীদের পুলিশ তদন্ত করে আইনের আওতায় আনবে বলে আমার বিশ্বাস।

এদিকে রাজাবাড়ী এলাকার গ্রাম প্রধান বাচ্চু মিয়া গণমাধ্যমকর্মীদেরকে জানান, এ ঘটনাটি ঘটেছে এটা সত্য। আমরা বিগত সময়ে তাদের জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে একাধিক সালিশ করেছি। প্রতিপক্ষ এটা মেনে নেয় না। যেহেতু তারা এলাকায় প্রভাবশালী। আজকে রাতে লুটপাটের যে ঘটনাটি ঘটেছে এর যথাযথ বিচার হওয়া প্রয়োজন।

এদিকে অভিযোগকারী সুমন বলেন, মাসুদ (২৯), র”বেল (১৮), আলমগীর (৩০), জুলহাস (৫৫), শ্যামল (৪১), আলাউদ্দিন (৬২), র”হুল আমিন (৩২) এই সন্ত্রাসীদের ভয়ে আমি এখন আতংকে মানবেতর জীবনযাপন করছি। যে কোন সময় আমার বাড়িতে বা আমার পরিবারের উপর আবারো হামলার আশংকা রয়েছে। তাই নরসিংদী জেলার পুলিশ সুপারের সহযোগিতা কামনা করছি।

এদিকে আলমগীর সহ অন্যান্য অভিযুক্তদের নিকট এ বিষয়ে জানতে চাইলে সংবাদকর্মীদের সাথে কোন কথা বলতে তারা রাজি হননি।

এ বিষয়ে রায়পুরা থানার পুলিশ মুরাদ (এস.আই) ঘটনাস্থলে তাৎক্ষনিক চলে আসেন। ঘটনাটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান ভুক্তভোগীদের কাছে। এ বিষয়ে সংবাদকর্মীরা তার কাছে জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে কিছু বলেননি।