নরসিংদীর রায়পুরায় গোলাগুলির ঘটনায় হয়নি মামলা, নেই আটক ও অস্ত্র উদ্ধার
নরসিংদীর রায়পুরায় গোলাগুলি ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটনার ২২ ঘন্টা পার হলেও মামলা হয়নি। এ ঘটনায় আটক হয়নি কেউ ও উদ্ধার হয়নি অস্ত্র। গোলাগুলির পর এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে, মোতায়েন রয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ। রোববার (২৩ জুন) সরেজমিন গিয়ে এ চিত্র দেখা গেছে।
রায়পুরা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রচারনায় গিয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মো: সুমন মিয়া নিহতের প্রতিবাদ করায় হত্যা মামলার প্রধান আসামী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আবিদ হাসান রবেল ও অন্য আসামীরা প্রকাশ্যে দিবালোকে পুলিশের সামনে এ গুলির ঘটনা ঘটিয়েছে বলে দাবি করেছেন মেথিকান্দা গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা হারুন অর রশিদ।
রোববার দুপুরে মেথিকান্দা গ্রামের নিজ বাড়িতে এক সংবাদ সম্মেলনে পৌর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি হারন অর রশিদ জানান, সুমন হত্যার প্রতিবাদ করার জেরে সন্ত্রাসী, ভূমিদস্যু, মাদক ব্যবসায়ী একাধিক মামলার পলাতক আসামী আবিদ হাসান রুবেল ও তার সহযোগী সন্ত্রাসীরা পরিকল্পিতভাবে তার ও তার পরিবারের ওপর গুলিবর্ষণ ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে গুলিবিদ্ধসহ ৪ জন স্বজন ও সমর্থক আহত হয়েছেন।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় থানায় তাদের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে। হামলাকারী সন্ত্রাসীদের ভয়ে নিরাপত্তাহীনতায় আছেন জানিয়ে দ্রত হামলাকারীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায আনার দাবি করেন তিনি। এসময় তার ভাই সাবেক ইউপি মেম্বার আব্দুল বাসেদ, নূর মোহাম্মদ সহ পরিবারের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
নরসিংদীর সহকারী পুলিশ সুপার (রায়পুরা সার্কেল) আফসান আল আলম বলেন, মেথিকান্দা এলাকায় সংঘর্ষের পর হতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত। সংঘর্ষের ঘটনায় কোন পক্ষ অভিযোগ দিলে মামলা ও আইন অনুযায়ী পদক্ষেপে নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, শনিবার (২২ জুন) বিকেলে উপজেলার মেথিকান্দা এলাকায় লেয়াকত আলী ওরফে লইক্কা মিস্ত্রি ও হরযত আলী ওরফে হরজু সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ৪ জন আহত হয়। পরবর্তী সহিংসতা এড়াতে এলাকায় মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, গত ২২ মে নির্বাচনী চরাঞ্চলের পাড়াতলী এলাকায় প্রচারনায় গিয়ে প্রতিপক্ষ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আবিদ হাসান রবেল সমর্থকদের হামলায় নিহত হন তালা প্রতীকের ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মো: সুমন মিয়া। এ ঘটনায় নিহতের পিতা নাসির উদ্দিন বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। এদিকে ২৯ মে অনুষ্ঠিতব্য সকল পদের ভোট গ্রহণ স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন।
এরপরই হযরত আলী ওরফে হরজু সমর্থকদের সাথে লেয়াকত আলী মিস্ত্রি বাড়ির সমর্থকদের মধ্যে পূর্ব বিরোধ বেড়ে যায়। এই জেরে শনিবার (২২ জুন) বেলা সাড়ে ৪ টা থেকে দফায় দফায় ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। এক পর্যায়ে লেয়াকত আলী সমর্থকদের উপর ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় রবেল সমর্থকরা।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন